Advertisment

Sri Lanka PM: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি, কীভাবে উত্থান ঘটল হরিণী অমরাসুরিয়ার?

Harini Amarasuriya: ড. অমরাসুরিয়া একজন শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী এবং মার্কসবাদী দল জনতা বিমুক্তি পেরামুনা (জেভিপি)-এর প্রাক্তন সাংসদ। তাঁকেই শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Harini Amarasuriya, Sri Lankan Prime Minister, হরিণী অমরাসুরিয়া, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী,

Harini Amarasuriya-Sri Lankan Prime Minister: শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হরিণী অমরাসুরিয়া দায়িত্বভার গ্রহণ করছেন। (ছবি- টুইটার)

Harini Amarasuriya: মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকে দলের সদ্যপ্রাক্তন সাংসদ ড. হরিণী অমরাসুরিয়াকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেছেন। ২০০০ সালে সিরিমাভো বন্দরনায়েকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। তার ২৪ বছর দ্বীপরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী পদে কোনও মহিলা দায়িত্বভার নিলেন। নতুন দায়িত্বভার নেওয়ার পর ড. হরিণী অমরাসুরিয়া হলেন শ্রীলঙ্কার তৃতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী। ড. অমরাসুরিয়া বিচার, শিক্ষা, শ্রম, শিল্প, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য এবং বিনিয়োগমন্ত্রী হিসেবেও কাজ করবেন।

Advertisment

হরিণী অমরাসুরিয়া কে?

হরিণী অমরাসুরিয়া শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের গালে এলাকায় ১৯৭০ সালের মার্চে জন্ম নেন। তিনি তিন সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। তাঁর বাবা একটি চা বাগানে কাজ করতেন। সেই চা বাগান শ্রীলঙ্কা সরকার অধিগ্রহণ করেছিল। পরে হরিণীর পরিবার কলম্বোয় চলে যায়। তিনি কলম্বোর অ্যাংলিকান গার্লস স্কুল- বিশপস কলেজে পড়াশোনা করেছেন। স্কুলে থাকাকালীন ছাত্র বিনিময় প্রকল্পের সুযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একবছর কাটিয়েছেন। ১৯৮৮-৮৯ সালে নতুন করে হিংসা ছড়ানোয় শ্রীলঙ্কায় তাঁর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। তিনি ভারতে চলে আসেন। ১৯৯৪ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু কলেজ থেকে সমাজবিজ্ঞানে বিএ (অনার্স) পাস করেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটি থেকে ফলিত নৃবিজ্ঞান ও উন্নয়নে স্নাতকোত্তর এবং এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামাজিক নৃবিজ্ঞানে ডক্টরেট করেছেন। 

সামাজিক কাজ

তাঁর প্রথম কাজ ছিল, কমিউনিটি মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সামাজিক স্বাস্থ্য অফিসার হিসেবে প্রতিষ্ঠানের মহিলাদের দেখভাল করা। ২০২০ সালে অমরাসুরিয়া উইমেন ফর পলিটিক্স-কে বলেন, 'ওই অভিজ্ঞতা আমাকে নতুন করে পৃথিবীকে চিনতে শেখায়। ওখানে যা যা ঘটেছে, তা আমার চোখ খুলে দিয়েছিল।' ২০২১ সালে রাজনীতিতে পূর্ণ-সময়ের জন্য প্রবেশের আগে, ৫৪ বছর বয়সি অমরাসুরিয়া শ্রীলঙ্কান ওপেন ইউনিভার্সিটির মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের প্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। 

আরও পড়ুন- দিশাহীন দ্বীপরাষ্ট্র! পার্লামেন্টই ভেঙে দিলেন দিসানায়েকে

রাজনীতিতে হরিণী

হরিণী অমরাসুরিয়া শ্রীলঙ্কার ষোড়শ প্রধানমন্ত্রী হলেন। অমরাসুরিয়া একজন নারীবাদী। তিনি অতীতে বারবার রাজনীতিতে মহিলাদের আরও বেশি করে যুক্ত থাকার পক্ষে সওয়াল করেছেন। প্রচলিত রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে 'বংশবাদী, বিষাক্ত, পুরুষালি, হিংসাত্মক, একচেটিয়া রাজনীতি' বলে অভিযোগ করেছেন। রাজনীতি সম্মানজনক পেশা না হওয়ায় তা নারীর প্রবেশের মূল বাধা বলেও বর্ণনা করেছেন হরিণী অমরাসুরিয়া। তিনি লিঙ্গ, শ্রেণি এবং কর্মসংস্থান বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। আর, তা নিয়ে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে নিজস্ব ভাবনা অনুযায়ী চেষ্টা চালিয়েছেন। 

Sri Lanka PM Anura Kumara Dissanayake Harini Amarasuriya
Advertisment