Advertisment

Explained: ভারতের নতুন রকেটের উৎক্ষেপণ, ভবিষ্যতের জন্য বড় আশার কারণ, কিন্তু কেন?

এটা এমন একটা রকেট যা মাত্র ৫-৬ জনের একটি দলই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এর যন্ত্রপাতি জুড়ে দিতে পারে। বর্তমানে বাজারের চলতি রকেটের চেয়েও এই রকেটের দাম অনেক কম। ১০ ভাগের মাত্র এক ভাগ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
isro new rocket

ভারতের নতুন রকেটের উৎক্ষেপণকে বলা হচ্ছে ভবিষ্যতের জন্য বড় আশার কারণ। রবিবারই রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি উপগ্রহ আছে। যার একটি হল মাইক্রো স্যাটেলাইট। এই স্যাটেলাইট পৃথিবীর প্রদক্ষিণ করবে নাম EOS 02। তবে রকেটটি তার প্রত্যাশিত পথে কেন চলেনি, তা জানার চেষ্টা করছেন ইসরোর গবেষকরা।

Advertisment

এই রকেটটি অবশ্য তিন বছর আগে ২০১৮ সালেই উৎক্ষেপণ করার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে পিছিয়ে যায়। এর জন্য করোনা অতিমারির তো একটা বড় ভূমিকা আছেই। আবার ইসরোও বেশ দেরি করেছে। সব মিলিয়ে বলা ভালো, নানা কারণে এই রকেট উৎক্ষেপণে দেরি হয়েছে। তবে রকেটটি তার প্রত্যাশিত পথে না-চলায় একটা সন্দেহের বাতাবরণও তৈরি হয়েছে ইসরোর মধ্যে।

বিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করছেন এসএসএলভি রকেটটির মধ্যেও কোনও ত্রুটি থাকতে পারে। সেই কারণে হয়তো এটা প্রত্যাশিত পথে চলেনি। আর, একথা মাথায় রেখেই, আগামী বছরগুলোতে রকেট উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে আরও কী কী সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন, সেটা নিয়েও চিন্তা করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।

তবে, এটা এমন একটা রকেট যা মাত্র ৫-৬ জনের একটি দলই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এর যন্ত্রপাতি জুড়ে দিতে পারে। বর্তমানে বাজারের চলতি রকেটের চেয়েও এই রকেটের দাম অনেক কম। ১০ ভাগের মাত্র এক ভাগ। আর, এই সব কারণে চাইলে এই রকেট প্রতি সপ্তাহেই ভারত মহাকাশে পাঠাতে পারে। এমনিতে এই রকেট ভীষণ ছোট।

আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দিল্লি থেকে সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করল NIA

তবে, সাম্প্রতিক সময়ে যে উপগ্রহগুলো মহাকাশে উৎক্ষেপিত হয়েছে, তার ৯০ শতাংশ বয়ে নিয়ে গিয়েছে এই রকেটই। আর, সেই সব কারণে এই রকেটকে গেম চেঞ্জার বলা হয়। যা ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে পারে। যদিও রবিবার এই রকেটের সঠিক পথে চলতে না-পারা, চিন্তায় রাখবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের।

ছোট উপগ্রহের যুগ

দীর্ঘ দিন ধরেই ৫ থেকে ১,০০০ কেজি ওজনের ছোট উপগ্রহগুলোর চাহিদা বাড়ছে। কারণ, এখন উপগ্রহ পাঠানোর বিষয়টি রীতিমতো ব্যবসায়িক। সরকারি সংস্থাগুলো তো বটেই এমনকী বিশ্ববিদ্যালয় এমনকী গবেষণাগারগুলোও মহাকাশে উপগ্রহ পাঠাতে শুরু করেছে। আর, এগুলো সবই ছোট উপগ্রহ। প্রকৃতপক্ষে, মহাকাশ-ভিত্তিক তথ্য, যোগাযোগ, নজরদারি এবং বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তার জন্যই গত আট থেকে দশ বছরে ছোট উপগ্রহ উৎক্ষেপণের চাহিদা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই ভাবে লাগাতার উপগ্রহ পাঠানোয় সংস্থাগুলো মহাকাশে উপগ্রহের মণ্ডলী তৈরি করে ফেলেছে। ছোট উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠানোর এই চাহিদা লক্ষ্য করে অন্তত তিনটি বেসরকারি সংস্থা রকেট তৈরিতে মন দিয়েছে। সেই বাজার দখল করতে চাইছে ইসরোও। আর, সেই জন্যই ইসরো SSLV রকেট তৈরি করেছে।

Read full story in English

ISRO Sattelite Space
Advertisment