/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/22/southampton-university-2025-10-22-18-52-18.jpg)
Southampton University: সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়।
Foreign Universities in India: ভারতের উচ্চশিক্ষার জগতে এক নতুন অধ্যায় শুরু হতে চলেছে। ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া ও ইতালির মতো দেশের বেশ কয়েকটি নামী বিশ্ববিদ্যালয় এবার ভারতে তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাস খুলছে। এর ফলে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা ঘরে বসেই বিশ্বমানের পড়াশোনার সুযোগ পেতে চলেছেন।
বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে কেন আসছে?
২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP 2020)-তে উল্লেখ করা হয়েছিল যে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যেগুলি আগ্রহী, তারা ভারতে ক্যাম্পাস খুলতে পারবে। এর লক্ষ্য, ভারতের শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা এবং বিদেশে পড়াশোনার জন্য ভারতের বিশাল ব্যয়ের চাপ কমানো। এই নীতির পর UGC 2023 Regulations-এর মাধ্যমে নিয়ম তৈরি হয়েছে। যার আওতায় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভারতে ক্যাম্পাস চালু করতে পারছে। প্রথমে অনুমতি দেওয়া হয় গুজরাটের GIFT City-কে। আর এবার মুম্বই, গুরগাঁও, চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুতেও সেই সুযোগ এসেছে।
আরও পড়ুন- একঘণ্টা চলেই বন্ধ শেয়ার বাজার, কী এই বিক্রম সংবত, কারা মানেন?
কী কোর্স পড়ানো হবে?
বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই তিন বছরের স্নাতক এবং এক বছরের মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু হচ্ছে। বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে—বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটার সায়েন্স, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, ইকনমিক্স, ডেটা সায়েন্স, ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)। UGC-এর নিয়ম অনুযায়ী, ভারতে থাকা ক্যাম্পাসেও মূল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই একই মানের পাঠ্যক্রম, পরীক্ষা ও ডিগ্রি দিতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনার খরচ বিদেশের তুলনায় প্রায় ৫০% কম হবে। যেমন, University of Southampton-এর ভারতে টিউশন ফি বছরে ১৩ থেকে ২৩ লক্ষ টাকার মধ্যে, যেখানে ব্রিটেনে একই কোর্সের খরচ ৩০ থেকে ৪২ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন- গোবর্ধন আর অন্নকূট পূজা! প্রিয়জনকে এই শুভেচ্ছাবার্তা জানালে মনে রাখবে চিরকাল
ব্রিটেনে বর্তমানে উচ্চশিক্ষা খাতে অর্থনৈতিক চাপ বেড়ে চলেছে। বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এবং খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয় নতুন রাজস্বের উৎস খুঁজছে। ভারত তাদের কাছে একটি বিশাল সম্ভাবনাময় বাজার—যেখান থেকে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ছাত্র বিদেশে পড়তে যায়। যাঁরা বিদেশে না গিয়েও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা নিতে চান, তাঁদের জন্য এই সুযোগ বিশেষভাবে উপকারি। এছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম-এর আওতায় ছাত্রছাত্রীদের বিদেশি ক্যাম্পাসে সেমিস্টার বা বছরখানেক কাটানোর সুযোগও দেবে। তবে, বিদেশে চাকরি বা পোস্ট-স্টাডি ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করা ছাত্রদের জন্য সেই সুবিধা না-ও থাকতে পারে।
আরও পড়ুন- শুধু নিষিদ্ধ বাজিই নয়, গ্রিন ক্র্যাকারেও ছড়ায় ভয়ংকর দূষণ, চমকে দেবে সত্যিটা!
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ ভারতের শিক্ষা খাতকে বিশ্বমানের প্রতিযোগিতায় নিয়ে যাবে। বিদেশি ও ভারতীয় শিক্ষকদের যৌথ উদ্যোগে গবেষণা, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন আরও বাড়বে।