Eco-Friendly Diwali: শুধু নিষিদ্ধ বাজি? গ্রিন ক্র্যাকারেও ছড়ায় ভয়ংকর দূষণ, জানুন সত্যিটা!

Sustainable & Green Diwali Tips: সবুজ আতসবাজি কি সত্যিই পরিবেশবান্ধব? CSIR-NEERI-এর গবেষণায় ধরা পড়েছে সম্পূর্ণ অন্য ছবি। যা দেখলে সমাজ সচেতন নাগরিকরা চমকে উঠতে বাধ্য।

Sustainable & Green Diwali Tips: সবুজ আতসবাজি কি সত্যিই পরিবেশবান্ধব? CSIR-NEERI-এর গবেষণায় ধরা পড়েছে সম্পূর্ণ অন্য ছবি। যা দেখলে সমাজ সচেতন নাগরিকরা চমকে উঠতে বাধ্য।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Eco-Friendly Diwali 2025: Green Diwali Tips: Sustainable Deepawali: পরিবেশবান্ধব দীপাবলি।

Eco-Friendly Diwali 2025: পরিবেশবান্ধব দীপাবলি।

How to Celebrate an Eco-Friendly Diwali 2025: দীপাবলির উৎসব মানেই আলো, আনন্দ আর আতসবাজির ঝলকানি। কিন্তু এই উৎসবের রঙিন ধোঁয়া যেমন আনন্দ আনে, তেমনই আনে শ্বাসরুদ্ধ করা দূষণ। এই সমস্যা মোকাবিলায় বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন Green Crackers, অর্থাৎ পরিবেশবান্ধব আতসবাজি। কিন্তু প্রশ্ন হল — এগুলি কি সত্যিই ‘পরিবেশবান্ধব’? 

Advertisment

ভারতের CSIR-NEERI (Council of Scientific and Industrial Research – National Environmental Engineering Research Institute) ২০১৮ সালে প্রথম এই সবুজ আতসবাজি তৈরি করে। এগুলির তিনটি প্রধান ধরন হল— ১) SWAS (Safe Water Releaser), ২) STAR (Safe Thermite Cracker), ৩) SAFAL (Safe Minimal Aluminium)। এই ফর্মুলেশনে বেরিয়াম নাইট্রেট বাদ দিয়ে পটাসিয়াম নাইট্রেট বা স্ট্রনশিয়াম সল্ট ব্যবহার করা হয়। এছাড়া অ্যালুমিনিয়ামের পরিমাণ কমানো হয় এবং ধুলো দমনকারী পদার্থ হিসেবে জিওলাইট ও আয়রন অক্সাইড যোগ করা হয়। এর ফলে প্রচলিত আতসবাজির তুলনায় প্রায় ৩০-৪০% কম ক্ষতিকর গ্যাস ও ধোঁয়া উৎপন্ন হয় (NEERI রিপোর্ট, ২০২3)।

আরও পড়ুন- চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচায় পড়ে গেলেন মহিলা, তারপর যা ঘটল তা শিউরে ওঠার মত!

Advertisment

কম দূষণ, কিন্তু দূষণমুক্ত নয়

সবুজ আতসবাজিতে বেরিয়াম নাইট্রেট না থাকায় লাং টক্সিসিটি (lung toxicity) অনেকটাই কমে। তবে সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত বলা যায় না।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই বাজি থেকে অ্যালুমিনিয়াম, কপার ও স্ট্রনশিয়াম জাতীয় ধাতব কণা নিঃসৃত হয়। পোড়ার পর তৈরি ছাই ও মাটিতে এই ধাতুগুলির উপস্থিতি রয়ে যায়। অর্থাৎ, এগুলি ১০০% পরিবেশবান্ধব নয়।

আরও পড়ুন- আদানি কি শেষমেশ সাহারা সাম্রাজ্যের মালিকানা পাবে?

NEERI-এর রিপোর্ট বলছে, যদিও মোট দূষণ কমে, কিন্তু ১০০ ন্যানোমিটারে কম আকারের ultrafine particles (UFPs) বেড়ে যায়। এই কণাগুলি চোখে দেখা যায় না, কিন্তু এগুলি ফুসফুস ও রক্তে প্রবেশ করে শরীরে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রিন ক্র্যাকারস (Green Crackers)-এর ধোঁয়া শিশু, বৃদ্ধ ও হাঁপানির রোগীদের জন্য বিপজ্জনক। অ্যালুমিনিয়াম ও বেরিয়ামের দ্রবণীয় যৌগ ফুসফুস ও পেশীর ক্ষতি করে। আতসবাজি পোড়ানোর সময় PM₂.₅ ও PM₁₀ মাত্রা কয়েক ঘণ্টায় ৫–৬ গুণ বেড়ে যায়। অতএব, 'কম ক্ষতিকর' মানেই 'নিরাপদ' নয়।

আরও পড়ুন- ভারতীয়-বংশোদ্ভূত স্ট্র্যাটেজিস্ট, কোন ভয়াবহ অভিযোগে গ্রেফতার করল ট্রাম্প প্রশাসন?

প্রত্যেক অনুমোদিত Green Cracker-এ থাকে QR কোড ও CSIR-NEERI লোগো। কিন্তু, বাজারে নকল বা অননুমোদিত পণ্য ভরপুর। ভোক্তারা আসল-নকল বুঝতে পারেন না, ফলে প্রকৃত সবুজ আতসবাজির ব্যবহারও সীমিতই থেকে যায়। বিশ্বের বহু দেশ যেমন— চীন, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশবিশেষ— শহরাঞ্চলে আতসবাজি নিষিদ্ধ করেছে। ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে সরকারি উদ্যোগে গ্রিন ক্র্যাকারস (Green Crackers) তৈরির ও তার সার্টিফিকেশনের প্রকল্প চালু আছে। অথচ, শহরের বাতাস দূষণে ভরা, সেখানে ৩০% কম দূষণ নির্গমন করলেও গ্রিন ক্র্যাকারসও দূষণ বাড়িয়েই চলেছে। 

Green 2025 crackers