Former IPS officer Sanjiv Bhatt guilty in 1996 drug case: প্রাক্তন আইপিএস সঞ্জীব ভাট ১৯৯৬ সালের মাদক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে, গুজরাট হাইকোর্ট হেফাজতে নির্যাতনের একটি পৃথক মামলায় ভাটকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। ২০১৮ সালে সঞ্জীব ভাটকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
ভাট দায়িত্বে ছিলেন
ভাট ১৯৯৫ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে ১৯৯৬ সালের ১৮ অক্টোবর, গুজরাটের বানসকণ্ঠ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ছিলেন। ১৯৯৬ সালে, অভিযুক্ত ভাটের নির্দেশে ইন্দ্রবদন ব্যাস নামে এক পুলিশ অফিসার পালানপুরের একটি হোটেলে অভিযান চালান। সেখানে একটি ঘর থেকে ১.১৫ কেজি আফিম উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় সুমের সিং রাজপুরোহিত নামে রাজস্থানের একজন আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
রাজপুরোহিতের অভিযোগ
১৯৯৬ সালের অক্টোবরে, রাজপুরোহিত একজন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে তিনি ভাট, ব্যাস এবং আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ধৃত আইনজীবীর অভিযোগ ছিল, অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকরা তাঁর ঘরে আফিম রেখে তাঁকেই দোষী সাজিয়েছেন। রাজপুরোহিতের অভিযোগ ছিল, গুজরাট হাইকোর্টের একজন প্রাক্তন বিচারপতির নির্দেশে ভাট তাঁকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন। কারণ, একটি বাড়ি নিয়ে বিবাদ। ওই বাড়িতে রাজপুরোহিত ভাড়া থাকতেন।
এফআইআর দায়ের
এই ঘটনায় নভেম্বরে, রাজস্থানের পালির কোতোয়ালি থানায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। পালানপুরের ওই ঘটনায় এফআইআর সম্পর্কে ব্যাস পরবর্তীতে চাপে পড়ে সিআরপিসি ধারা ১৬৯ (প্রমাণ ঘাটতি হলে অভিযুক্তদের মুক্তি)-এর অধীনে একটি রিপোর্ট দাখিল করতে বাধ্য হন। তাতে তিনি স্বীকার করে নেন যে রাজপুরোহিত প্রকৃত অভিযুক্ত নন। এরপর ওই আইনজীবীকে খালাস করে দেয় আদালত।
আরও পড়ুন- শুধু পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্ব বাড়ছে! নাকি দেশেই কাজের বাজারেরই হাল খারাপ?
বিচারে বিলম্ব
২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, পুলিশ পালানপুর মামলায় একটি রিপোর্ট দাখিল করে। রিপোর্টটি গৃহীত হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে আদালত কোনও চূড়ান্ত নির্দেশ দেয়নি। রাজপুরোহিত যে বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, ১৯৯৮ সালে সেই বিচারপতি আরআর জৈন (অবসরপ্রাপ্ত) গুজরাট হাইকোর্টে ১৯৯৬ সালের পালানপুর এফআইআর-এর তদন্ত সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরিত করার জন্য এবং কোতোয়ালি থানার মামলার পুনরায় তদন্ত চেয়ে আবেদন করেছিলেন। ২০১৮ সালের এপ্রিলে গুজরাট হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় যে পালানপুর-কাণ্ডের এফআইআরের তদন্ত, গুজরাট সিআইডির অপরাধদমন শাখার আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত একটি বিশেষ দল করবে।