ইংল্যান্ডের এক ফুটবল স্টেডিয়ামে, হিউস্টনের এক সংগীত উৎসবে, সৌদি আরবের এক হজযাত্রায়, শিকাগোর এক নাইট ক্লাব-সহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় মাঝেমধ্যেই ভিড়ে চাপা পড়ে দুর্ঘটনার অভিযোগ সামনে এসেছে। ওই ধরনের দুর্ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যুও হয়। সেরকমই একটি ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে হ্যালোইন উত্সব চলাকালীন। যেখানে ভিড়ের চাপে ১৫১ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে।
করোনার সময় উৎসব বন্ধ ছিল
করোনা অতিমারির সময় এই ধরনের উৎসব ও অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। লোকজন বাড়িতেই ছিলেন। তার ফলে এই ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ছিল না। করোনা পরবর্তী সময়ে তাই পুনরায় আনন্দগুলো উপভোগ করতে বিপুল উৎসাহে পথে নামছেন মানুষ। আর, তাতেই বিপুল জনসমাগম ঘটেছিল সিওলের ওই উৎসবে। এমনটাই মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা। তাঁদের দাবি, রাস্তাটি সরু থাকায় ভিড়ে চাপাচাপি বেশি হয়েছে। আর, তাতেই এতবড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনায় কীভাবে মানুষের মৃত্যু হয়?
ভিড়ের জেরে অনেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় পরে গিয়ে পদদলিত হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়। আবার, অনেকে দমবন্ধ হয়েও মারা যান। আসলে এই সময় এত ভিড় হয়ে যায় যে তার চাপে ইস্পাতও বেঁকে যেতে পারে। শ্বাস নেওয়াই অসম্ভব হয়ে ওঠে। লোকেরা দাঁড়িয়ে থেকে পর্যন্ত মারা যান। আর, যাঁরা মাটিতে পড়ে যান, তাঁদের ওপর বাকিরা এমনভাবে এসে পড়ে যে তাঁদের শ্বাস নেওয়া পর্যন্ত অসম্ভব হয়ে ওঠে। তাঁদের ওপর এসে পড়া দেহগুলো সরিয়ে মানুষ সেই সময় উঠেও দাঁড়াতে পারেন না।
আরও পড়ুন- মোদীকে ‘ভগবানের অবতার’, দাবি যোগীর মন্ত্রীর, অযথা রাজনীতিতে কেন, কটাক্ষ বিরোধীদের
শ্বাসরোধ হয়েই মৃত্যু
কারণ, তাঁদের পা পেঁচিয়ে যায় অন্য কারও পায়ের সঙ্গে। এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ব্যাপারে ইংল্যান্ডের সাফোক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর জি. কিথ স্টিল বলেন, 'মাটিতে পড়ে যাওয়া মানুষ যখন তাঁর ওপর এসে পড়া অন্যান্যদের সরিয়ে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন, তখন তাঁদের হাত ও পা একসঙ্গে পেঁচিয়ে যায়। মস্তিষ্কে রক্তের সরবরাহ কমতে থাকে। এই ধরনের ঘটনায় আধঘণ্টার মধ্যে মানুষ জ্ঞান হারায়। আর, প্রায় মিনিটছয়েক ওই দমবন্ধকর অবস্থায় থাকলে তাঁর শ্বাসরোধ হয়েই মৃত্যু ঘটে।'
Read full story in English