Wayanad’s missing list: ওয়ানাদ ভূমিধসের পরদিন থেকেই কাজের চাপ বেড়ে গিয়েছে কান্নুরের আঞ্চলিক ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞদের। দুর্ঘটনায় উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন ব্যক্তির শরীরের ডিএনএ রক্ষণাবেক্ষণই তাঁদের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। এখনও পর্যন্ত ঘোষিত ২৩১ জন মৃতের পরিবার দেহ পেয়ে গিয়েছে। আরও নিখোঁজ ১১৮ জনের মধ্যে কতজন মারা গিয়েছেন, তা ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে চাইছেন বিশেষজ্ঞরা। উদ্ধার হওয়া অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর ডিএনএ মিলিয়ে সেই ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
ল্যাবে ডিএনএর ৪২১টি নমুনা
অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের দেহ এবং উদ্ধার হওয়া দেহাংশগুলো ভবিষ্যতে শনাক্তকরণের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোর অন্যতম চুরমালা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে পুথুমালার গণকবরস্থানে কবর দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ এবং শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো কবরের গর্তে নামানোর আগে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়েছিল। এমন ৪২১টি নমুনা পাঠানো হয়েছে কান্নুরের ল্যাবে।
ডিরেক্টর যা বলেছেন
কেরল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির ডিরেক্টর ড. প্রদীপ সাজি কে জানিয়েছেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে বিপুলসংখ্যক নমুনা পরীক্ষা করা সহজ না। ওই জন্যই ডিএনগুলো কান্নুরের আঞ্চলিক ল্যাবদলের কাছে পাঠানো হয়েছে। কারণ, ওটা ডিএনএ পরীক্ষার ব্যাপারে ভারতের অন্যতম সেরা ল্যাব। সাজি বলেন, 'আমরা বিভিন্ন জেলা থেকে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এসেছি। ওঁরা বেশ কয়েক দিন ধরে দিনরাত কাজ করছেন। নমুনাগুলো (প্রিজারভেটিভে) ল্যাবের ঠান্ডা ঘরে রাখা হয়েছে। কোনও দূষণ যাতে না ছড়ায়, তারজন্য সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছি। কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে।'
আরও পড়ুন- কীভাবে টাকা পায় মাদ্রাসাগুলো? খতিয়ে দেখছে সুপ্রিম কোর্ট
ডিএনএ পরীক্ষার ব্যাপারটা বোঝাতে গিয়ে কান্নুরের ল্যাবের যুগ্ম ডিরেক্টর বুশরা বেগম বলেন, 'ডিএনএ পরীক্ষার বেশিরভাগ নমুনাই অজ্ঞাতপরিচয় দেহগুলোর হাড় থেকে নেওয়া হয়েছে। কিছু নমুনা দাঁত, টিস্যু থেকেও নিয়েছি। হাড় থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করতে অনেক সময় লাগে। হাড় পুরো পরিষ্কার করতে হয়। কোনও মেশিন চলে না। অনেক সূক্ষ্ম কাজ। দক্ষতার সঙ্গে করতে হয়। একেকটাতেই ঘণ্টাচারেক সময় লাগে।'