ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি) মঙ্গলবার (২৩ মে) সিভিল সার্ভিস ২০২২ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পরীক্ষাগুলোর একটি। যেখানে প্রতিবছর প্রায় ১০ লক্ষ পরীক্ষার্থী ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবা, ভারতীয় পুলিশ পরিষেবা, ভারতীয় পররাষ্ট্র পরিষেবা-সহ বিভিন্ন পরীক্ষায় বসেন। কীভাবে তৈরি হয়েছিল ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন?
ইতিহাস
১৮৫৪ সালে ব্রিটিশ সরকার সিভিল সার্ভিস কমিশন তৈরি করেছিল। সেখান থেকেই আজকের ইউপিএসসি পরীক্ষায় উৎপত্তি। তার আগে, ভারতের অসামরিক কর্মচারীদের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মনোনীত করেছিল। তারপরে ওই কর্মীদের লন্ডনের হেইলিবারি কলেজে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। যাই হোক, লর্ড থমাস ম্যাকাউলের এক রিপোর্টের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মনোনয়নের বদলে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে বেসামরিক কর্মচারীদের বাছাই করা উচিত। এইভাবে, সিভিল সার্ভিস কমিশন গঠিত হয়। কয়েক বছর ধরে শুধুমাত্র লন্ডনে পরীক্ষা হয়। এক দশক পরে, ১৮৬৪ সালে, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাই) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনিই ছিলেন এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রথম ভারতীয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২২ সাল থেকে পরীক্ষাটি ভারতে হতে শুরু করে।
আরও পড়ুন- পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রণাম করলেন, কেন এই দ্বীপরাষ্ট্র অতি গুরুত্বপূর্ণ?
স্বাধীন ভারতে
ইউপিএসসির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ভারতে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের উৎপত্তি ১৯১৯ সালের ৫ মার্চ ভারতীয় সাংবিধানিক সংস্কারের ওপর ভারত সরকারের প্রথম নথিতে রয়েছে। যেখানে কিছু স্থায়ী অফিস তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা আছে। পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ন্ত্রণের কথা বলা আছে। এই ব্যাপারে একটি সংস্থা তৈরির ধারণা, প্রাথমিকভাবে পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ ইস্যুতে ভারত সরকারের ১৯১৯ সালের আইনে আগের চেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। আইনের ধারা ৯৬ (সি) ভারতে একটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন প্রতিষ্ঠার জন্য তৈরি হয়েছে। এই আইনে ভারতে পাবলিক সার্ভিসের জন্য নিয়োগ, পরিষেবার নিয়ন্ত্রণ, আর নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আইনের মাধ্যমে গোটা বিষয়গুলোকে চালিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।