India-West Asia: India-West Asia: যে কোনও সময় যুদ্ধ লাগতে পারে ইরান এবং ইজরায়েলের। ইতিমধ্যেই ইরান ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ছুড়েছে। আর, ইজরায়েল পালটা হুমকি দিয়েছে যে ইরানকে পুরোপুরি জ্বালিয়ে দেবে। তবে এখনও ইরানের ওপর ইজরায়েল কোনও হামলা চালায়নি। তবে ইজরায়েল লেবানন এবং গাজায় তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি, তারা বেশ কিছু পেজার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। যে সব বিস্ফোরণে লেবাননের শিয়াপন্থী জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লাহর বহু সদস্য প্রাণ হারিয়েছে। ইরানের বিভিন্নস্তরের নেতা এই পরিস্থিতিতে গোপন স্থানে আত্মগোপন করেছেন বলেও জল্পনা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, আরবের শিয়াপন্থী রাষ্ট্রে জারি হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতাও।
আপাতত ভারতের ভূমিকা
পশ্চিম এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ইরানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বহু পুরোনো। ইরান দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের বন্ধু দেশ। পাশাপাশি, ইজরায়েলের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই মুখ খুলেছে বিদেশ মন্ত্রক। এক বার্তায় পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, 'এটা একটা আঞ্চলিক সংঘাত। আমরা চাই, সমস্ত পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যা মিটিয়ে ফেলুক। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের কাছে সংযম রক্ষা করার আবেদন জানাচ্ছি।' তবে একথা বললেও নয়াদিল্লি এখনও পর্যন্ত দুই রাষ্ট্রের সংঘাতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করার প্রস্তাব দেয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত ১০ দিনে প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে, সেনিয়ে অবশ্য মুখ খোলেনি বিদেশ মন্ত্রক।
ভারতের চিন্তার কারণ
* ইজরায়েলে প্রায় ১৮ হাজার ভারতীয়, ইরানে প্রায় ১০ হাজার এবং সমগ্র অঞ্চলে আরবভূমিতে প্রায় ৯০ লক্ষ ভারতীয় আছেন। বৃহত্তর সংঘাত এই বিশাল ভারতীয় সম্প্রদায় ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। এটাই চিন্তায় রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
* পশ্চিম এশিয়া ভারতকে তার ৮০% তেল সরবরাহ করে। এই অঞ্চলে বড় যুদ্ধ নিশ্চিতভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দেবে। পাশাপাশি, প্রধান আরব দেশগুলো ভারতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। যুদ্ধ হলে, সেই বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিশ্চিতরূপে ধাক্কা খাবে।
আরও পড়ুন- ফের লেবাননে ইজরায়েলের হানা, ইতিহাসটা শিউড়ে ওঠার মত
মোদী যা বলেছেন
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে তিনি 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি, গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা দ্রুত ফিরিয়ে আনার দাবি সমর্থন করেছেন। আবার সেই মোদীই গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। নেতানিয়াহুকে বলেছেন যে, 'বর্তমান বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের কোনও জায়গা নেই। আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানো, সমস্ত পণবন্দির নিরাপদে মুক্তি এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা দ্রুত ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।'