Advertisment

Explained: জৈব থেকে পরমাণু বোমা সন্ত্রাসের আশঙ্কা, রোখার জন্য আচমকা ভারত-মার্কিন মহড়া

রাসায়নিক অস্ত্রের হামলা রোখার মহড়াও চলছে এখানে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Special Forces

শুরু হয়েছে ভারত-মার্কিন যৌথ মহড়া। TARKASH, নামে এই মহড়ায় প্রথমবারের জন্য 'কেমিক্যাল, বায়োলজিক্যাল, রেডিওলজিক্যাল এবং নিউক্লিয়ার (CBRN) সন্ত্রাস ঠেকানোর প্রশিক্ষণ চলছে।' ১১ ফেব্রুয়ারি এই মহড়ার ব্যাপারে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। বর্তমানে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে এই মহড়া চলছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (NSG) এবং ইউএস স্পেশ্যাল অপারেশনস ফোর্সেস (SOF)-এই যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছে।

Advertisment

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পটভূমিতে এই নতুন মহড়া চলছে। গত বছর, রাশিয়া অভিযোগ করেছিল যে ইউক্রেন খারকিভে এক রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে। এই হামলার লক্ষ্য ছিল রাশিয়াকে অভিযুক্ত করা। আর, পশ্চিমী বিশ্বের থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাহায্য সংগ্রহ। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছিল রাশিয়া।

সূত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে যে CBRN জঙ্গি বা সন্ত্রাসী হামলার জবাবে এই মহড়ায় 'নিশানার জায়গা ঠিক করে আইএএফ হেলিকপ্টারের সাহায্যে কমান্ডোদের ছোট দলকে নিয়ে যাচ্ছে। কোনও বড় অডিটোরিয়ামে জঙ্গিদের দমন করছে। বন্দিদের উদ্ধার করছে। রাসায়নিক অস্ত্র নিষ্ক্রিয় করছে। এছাড়াও এখানে মহড়ায় সন্ত্রাসবাদীদের রাসায়নিক ও জৈবিক আক্রমণ মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন ধরনের মহড়া চলছে। বিষয়টি সম্পর্কে এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলনের সময় জঙ্গিরা রাসায়নিক হামলা চালালে, কীভাবে তা ঠেকানো যেতে পারে, তা এই মহড়ায় অনুশীলন করা হয়েছে।

এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে বলেন, 'এনএসজি এবং ইউএস (এসওএফ) দলের যৌথ মহড়ার উদ্দেশ্য ছিল জঙ্গিদের দ্রুত নিষ্ক্রিয় করা। বন্দিদের নিরাপদে উদ্ধার করা। জঙ্গিদের দ্বারা বহন করা রাসায়নিক অস্ত্রগুলো নিষ্ক্রিয় করা।' এই মহড়ার কারণ, CBRN অস্ত্রের ব্যাপক প্রাণহানি সৃষ্টির পাশাপাশি ব্যাপক বিঘ্ন সৃষ্টির ক্ষমতা রয়েছে। তাই এগুলোকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। ২০০৫ সালের এক সমীক্ষা অনুযায়ী, এই অস্ত্রগুলোর ধ্বংসের ক্ষমতা বেশ বিস্তৃত।

আরও পড়ুন- বেঙ্গালুরুতে এয়ারো ইন্ডিয়া শো ২০২৩: কী নিয়ে এই প্রদর্শনী?

রাসায়নিক অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে সরিষার গ্যাস (শ্বাসতন্ত্র, ত্বক এবং চোখের ক্ষতি করে), স্নায়ু সংক্রান্ত রাসায়নিক (যাতে আক্রান্তরা দ্রুত অজ্ঞান হয়ে যান, তাঁদের শ্বাসকষ্ট হয় এবং মারাও যেতে পারেন)। এছাড়াও রয়েছে অ্যানথ্রাক্সের মত রাসায়নিক অস্ত্র (যা জ্বর, অসুস্থতা, কাশি এবং আঘাত সৃষ্টি করে। এর ফলে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুও হতে পারে), বোটুলিনাম টক্সিন (যা শ্বাসযন্ত্রের পেশীর পক্ষাঘাত ঘটায়) এবং প্লেগ জৈব রাসায়নিক-সহ বিভিন্ন অস্ত্র। পাশাপাশি, রেডিওলজিক্যাল অস্ত্র ছাড়াও রয়েছে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য এবং 'নোংরা বোমা', পরমাণু বোমা হামলা রোখার মহড়া।

Read full story in English

India USA Terrorist Attack
Advertisment