এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) শনিবার (২৯ এপ্রিল) বেঙ্গালুরুতে এডুটেক ফার্ম বাইজুসের চত্বরে তল্লাশি চালিয়েছে। সংস্থাটির বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রা লঙ্ঘনের অভিযোগে এই তদন্ত করা হয়েছে। এই তল্লাশি সম্পর্কে বাইজুস জানিয়েছে, এটা একটা রুটিন তল্লাশি। আর, সংস্থাটি এই ব্যাপারে তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে যাবতীয় সহযোগিতা করেছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক (সিইও) রবীন্দ্রন বাইজু-র বাড়ি এবং বাইজু'স-এর মূল সংস্থা, 'থিংক অ্যান্ড লার্ন প্রাইভেট লিমিটেড'-এর অফিস চত্বর-সহ বেঙ্গালুরুর তিনটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে।
ইডির টুইট
সংস্থাটি এক টুইটে বলেছে, 'বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন (ফেমা) লঙ্ঘনের অভিযোগে বাইজুস সংস্থার প্রধান রবীন্দ্রন বাইজু এবং তাঁর সংস্থা থিংক অ্যান্ড লার্ন প্রাইভেট লিমিটেডের কার্যালয়-সহ বেঙ্গালুরুর তিনটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। অনুসন্ধানে বিভিন্ন অপরাধমূলক নথি এবং ডিজিটাল ডেটা বাজেয়াপ্ত হয়েছে।'
ইডির বিবৃতি
ইডি তার বিবৃতিতে বলেছে, 'ফেমা আইনে (ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট) অনুযায়ী অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে, কোম্পানিটি ২০১১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটি সরাসরি প্রায় ২৮,০০০ কোটি টাকা বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে। আর, কোম্পানিটি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের নামে প্রায় ৯,৭৫৪ কোটি টাকা বিদেশে পাঠিয়েছে। এছাড়াও কোম্পানিটি ৯৪৪ কোটি টাকা বিজ্ঞাপন ও বিপণন ব্যয়ের নামে বিদেশের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে। এই কোম্পানি ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে তার আর্থিক বিবৃতি তৈরি করেনি। বাধ্যতামূলক হলেও অ্যাকাউন্টের অডিট করায়নি। এই অবস্থায় কোম্পানিটির দেওয়া পরিসংখ্যানের সত্যতা ব্যাংকের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।'
সমন এড়িয়েছেন রবীন্দ্রন
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ব্যক্তির থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে বাইজুস প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ইডি বিবৃতিতে জানিয়েছে, তদন্তের সময় সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রন বাইজুকে বেশ কয়েকবার সমন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, তিনি প্রতিবারই সমন এড়িয়ে গিয়েছেন। আর, তদন্তের জন্য কখনও উপস্থিত হননি। বাইজুসের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলবে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন- সংস্থার পরিচালক প্রতারক, কেন্দ্রের থেকে ২ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছিল সংস্থাটি, কীভাবে?
এর পাশাপাশি, সংস্থাটির বিজ্ঞাপনে শাহরুখ খানকে দেখা যেত। সেসব দেখে আইএএস কোচিংয়ের জন্য বাইজুসে ভর্তি হয়েছিলেন এক পরীক্ষার্থী। তিনি সংস্থার বিরুদ্ধে এবং শাহরুখের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন। সেই অভিযোগের জেরে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের ক্রেতা সুরক্ষা আদালত শাহরুখ খানকেও জরিমানা করেছে।