সম্প্রতি পুনেতে একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। যেখানে সেরোলজিকাল সার্ভেতে দেখা গিয়েছে করোনা আক্রান্ত ৮৫ শতাংশ ব্যক্তির দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ এই ব্যক্তিরা এই রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করেছেন। অনেকেই মনে করেন এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়ে ওঠার অর্থ এই রোগের জন্য নিরাপদ। কারণ তারা এর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। কিন্তু সবসময় সেটা হয় না।
এই সকল ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি তৈরি হলেও তা ভবিষ্যতের আক্রমণ থেকে প্রতিরোধের গ্যারান্টি দেয় না। তাহলে এই অ্যান্টিবডিগুলি আসলে কী? নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডিগুলি, অন্যান্য অ্যান্টিবডিগুলির মতো যা এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৈরি হয়, প্রোটিন ছাড়া কিছুই নয়। মানব দেহের অভ্যন্তরে একই ভাইরাস প্রবেশ করলে তা নিষ্ক্রিয় করার ক্ষমতা রয়েছে এই অ্যান্টিবডির। এমনকী ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন, বয়স্কদের দেহে সফলভাবে কাজ করছে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন, ট্রায়াল রিপোর্টে বড় স্বস্তি
এখন প্রশ্ন হচ্ছে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে তা কী আজীবন এই ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করবে? এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া কিংবা অর্জিত অনাক্রম্যতা সপ্তাহ, মাস বা কয়েক বছর স্থায়ী হয় কিনা তা এখনও জানা যায়নি। বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে তা। দীর্ঘ সময়ের জন্য এই রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা রাখবে এমনটা মনে করছে গবেষকরা। তবে সে বিষয়ে কঠোর প্রমাণ নেই।
আরও পড়ুন, ডিসেম্বরেই ভারতের বাজারে ‘কোভিশিল্ড’, দাম হবে সাধ্যের মধ্যেই
বেশ কয়েকটি উদাহরণ রয়েছে যেখানে একবার করোনা লড়াই থেকে ওঠার পর দ্বিতীয়বার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যাকে পুন:সংক্রমণ বলা হচ্ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবডির আয়ুষ্কালও কমতে থাকে। দেহে যদি নিউট্রাল অ্যান্টিবডি তৈরি হয় সেটি অনেক ভাল সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে। কিন্তু সবার দেহে সঠিক পরিমাণে সেই অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে কি না তা জানান অসম্ভব। গবেষকদের মত, করোনার বিরুদ্ধে অর্জিত অনাক্রমতা আজীবন সুরক্ষা দেবে কি না কোনও জীববিজ্ঞান এখনই এটি ব্যাখ্যা করতে পারে না।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন