Israel Iran: ইরানের ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইজরায়েল। লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে ইরানের তৈল শোধনাগার, সেনাঘাঁটির মত বিশেষ জায়গাগুলোকে। পাশাপাশি, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোও হতে পারে ইজরায়েলের হামলার লক্ষ্য। ইজরায়েল এবং ইরানের পারস্পরিক সংঘাত এবং ছায়াযুদ্ধের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু, ইজরায়েলের দক্ষিণ লেবাননে আগ্রাসন এবং ছয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বার ইজরায়েলের ওপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, দুই দেশকে ক্রমশ যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
ইরানের তেল শিল্প
ইরানের তৈল শোধনাগার এবং গ্যাসের শোধনাগারগুলো বেশিরভাগই দেশটির পশ্চিমে- ইরাক, কুয়েত এবং সৌদি আরবের কাছাকাছি। ইরানের উপকূলে বা দ্বীপগুলোতেও তৈল শোধনের উল্লেখযোগ্য সুবিধা আছে। যেমন- পারস্য উপসাগরের খার্গ দ্বীপ এর প্রধান তেল রফতানি টার্মিনাল। তেল শোধনাগারে হামলা ইরানের অর্থনীতিতে আঘাত হানবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের একমাস আগে বিশ্বব্যাপী তেলের বাজারে তেল সরবরাহ এতে ব্যাহত হতে পারে। ইরান প্রতিদিন প্রায় ৩ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করে। যা বিশ্বে মোট তেল সরবরাহের প্রায় ৩%। এর সবচেয়ে বড় গ্রাহক চিন। মার্কিন এবং ইজরায়েলের নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশ্ববাজারে ইরানের গুরুত্ব হ্রাস করেছে। এবার ইরানের ওপর আক্রমণ ইরানের তেলের দামকেও প্রভাবিত করতে পারে। বৃহস্পতিবার যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি ইরানের তেল পরিকাঠামোয় ইজরায়েলের হামলাকে সমর্থন করবেন কি না, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন যে বিষয়টি নিয়ে 'আলোচনা' হয়েছে। বাইডেনের এই মন্তব্য বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড, তেলের সাপ্তাহিক পর্যালোচনায় দাম ৮% এর বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে। যা গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি।
ইরানের পরমাণু কেন্দ্র
ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে ইজরায়েল তার অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে। তবে ইজরায়েলি কর্তারা বলেছেন যে তাঁরা ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে এখনই আঘাত করতে চাইছেন না। এই সব কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে ইউরেনিয়াম উৎপাদন এবং সমৃদ্ধকরণ প্লান্ট, ইউরেনিয়াম খনি এবং গবেষণা চুল্লি। সম্প্রতি ইরান ইজরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করেছে। তারই জবাবে ইরানের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে ইজরায়েল।
আরও পড়ুন- ভয়ংকর যুদ্ধ! কীভাবে বাড়ল হিজবুল্লাহ-ইজরায়েল সংঘাত ?
তবে, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোর অনেকগুলোই ভূগর্ভস্থ। ফলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য ছাড়া ইজরায়েল সেখানে হামলা চালাতে পারবে না। এরইমধ্যে বাইডেন বুধবার বলেছেন যে তিনি ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোয় হামলা সমর্থন করবেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোর এখন যা হাল, তাতে আর কয়েক মাসের মধ্যেই তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে ফেলবে।