Advertisment

Jagdish Tytler: টাইটলার! নামটা শুনলে কেন কেঁপে ওঠেন অকুতোভয় শিখরা?

Anti-Sikh violence: শিখ সম্প্রদায়ের মানষের কাছে তিনি আস্ত ভিলেন! এমন এক ভাবমূর্তি, যা তাঁর প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিচয়টাকেও অন্ধকারে ঢেকে ফেলেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Jagdish Tytler, Anti-Sikh violence, জগদীশ টাইটলার, শিখ-বিরোধী হিংসা,

Jagdish Tytler-Anti-Sikh violence: কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী পদে টাইটলারকে ১৯৮৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জ্ঞানী জৈল সিং। (ছবি- এক্সপ্রেস আর্কাইভ)

Jagdish Tytler and anti-Sikh violence in Delhi: জগদীশ টাইটলার। নামটা শুনলেই আজও কেঁপে ওঠেন শিখ সম্প্রদায়ের অনেক সাধারণ এবং নিরীহ মানুষ। কারণটা আর কিছুই নয়। ১৯৮৪ সালের শিখবিরোধী হিংসা। যাতে অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছিল জগদীশ টাইটলারের। দিল্লির আদালত ১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী হিংসার অভিযোগে জগদীশ টাইটলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। সেবছর শিখ-বিরোধী হিংসার সময় দিল্লির পুল বঙ্গ গুরুদ্বারে তিন শিখ ব্যক্তিকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ রয়েছে টাইটলারের বিরুদ্ধে। তার প্রায় ৪০ বছর পর অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দিল আদালত।

Advertisment

গত মে মাসে টাইটলারের বিরুদ্ধে দায়ের করা চার্জশিটে, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) তাঁকে ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর, পুলবঙ্গ গুরুদ্বারের কাছে জড় হওয়া ভিড়কে, 'উসকানি দেওয়ার' দায়ে অভিযুক্ত করেছিল। টাইটলারের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারা (হত্যা)-সহ ১০৯ ধারা (প্ররোচনা), ১৪৭ ধারা (দাঙ্গা), ১৫৩এ ধারা (ধর্ম, বর্ণ, জন্মস্থান, বাসস্থান, ভাষা, বর্ণ বা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার) এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ১৪৩ ধারা (বেআইনি সমাবেশ)-এর আওতায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

অপারেশন ব্লু স্টার-এ ভারতীয় সেনাবাহিনী ১৯৮৪ সালের জুন মাসে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে প্রবেশ করেছিল। জঙ্গি মতাদর্শের প্রচারক অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত জার্নাইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালেকে হত্যা করেছিল নিরাপত্তারক্ষীরা। ভিন্দ্রানওয়াল স্বর্ণমন্দিরে আশ্রয় নিয়েছল। শিখ সম্প্রদায় ভিন্দ্রালওয়ালকে মেনে নেয়নি। কিন্তু, শিখদের পবিত্রতম উপাসনালয়ের ব্যাপক ক্ষতিও মানতে পারেনি। স্বর্ণমন্দিরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের লড়াইয়ে অনেক সাধারণ নাগরিকেরও মৃত্যু হয়েছিল।

আরও পড়ুন- মুসলিম সংখ্যাবৃদ্ধি রোধ লক্ষ্য, তাই অসমে নতুন আইন?

শিখদের কাছে, অপারেশন ব্লু স্টার তাদের ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের জন্য একটি অপমান ছিল। ইন্দিরা গান্ধী, তখন প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন। তিনি অপারেশনের বা অভিযানের অনুমতি দিয়েছিলেন। তার জেরে শিখরা ইন্দিরা গান্ধীকে দায়ী করেছিল। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর, অপারেশন ব্লু স্টারের 'প্রতিশোধ' নেওয়ার জন্য, ইন্দিরা গান্ধীর দুই শিখ দেহরক্ষী তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছিল। সেই সময় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর সফদরজং রোডের বাড়ির লনে হাঁটছিলেন। সেই সময়ই স্যালুট করার বদলে ইন্দিরা গান্ধীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

শিখদের বিরুদ্ধে টাইটলারের ভূমিকা

ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের জেরে দিল্লিতে গণহত্যা হয়েছিল। ইন্দিরা হত্যার পরের তিন দিনে, দিল্লিতে প্রায় ৩,০০০ নিরীহ শিখের ওপর কংগ্রেস নেতাদের একাংশ হামলা চালায়। নিরপরাধ শিখদের চিহ্নিত করা এবং নিশানা করার কাজে প্রশাসনকেও কাজে লাগানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই হিংসায় যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন কংগ্রেসের তৎকালীন সাংসদ জগদীশ টাইটলার। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ৪০ বছর।

 

 

CONGRESS Sikh Community court Minister Jagdish Tytler
Advertisment