Advertisment

Muslim Population: মুসলিম সংখ্যাবৃদ্ধি রোধ লক্ষ্য, তাই অসমে নতুন আইন?

Himanta Biswa Sarma: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা মুসলিম জনসংখ্যা রোধের ওপর বারবার জোর দিয়েছেন। তিনি অসমে জনবিন্যাস বদলের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Assam Cm, Himanta Biswa Sarma, অসমের মুখ্যমন্ত্রী, হিমন্ত বিশ্বশর্মা,

Himanta Biswa Sarma: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। (ফাইল ছবি)

Assam’s new marriage law: অসম বিধানসভা বৃহস্পতিবার (২৮ অগাস্ট) অসম বাধ্যতামূলক নিবন্ধন মুসলিম বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদ বিল, ২০২৪ পাস করেছে। 'বাল্যবিবাহ' এবং 'উভয়পক্ষের সম্মতি ছাড়া বিয়ে' প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে এই বিল পাশ করানো হয়েছে। এই আইন পাশ করাতে অসম বিধানসভা মুসলিম বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধনের জন্য চালু থাকা ৮৯ বছরের আইনও বাতিল করেছে। পাঁচ মাস আগে যে অর্ডিন্যান্স বা অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল, এই বিল পাশের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করতে চেয়েছে। 

Advertisment

অসমের মুসলমানদের মধ্যে বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদের নিবন্ধন বা নথিভুক্তিকরণ এতদিন ঔপনিবেশিক যুগের অসম মুসলিম বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন আইন, ১৯৩৫-এর অধীনে হত। এই আইনটি মুসলিমদের ব্যক্তিগত আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। 'যে কোনও ব্যক্তিকে, একজন মুসলিম হিসেবে' এই ধরনের বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন বা নথিভুক্তির অধিকার রাষ্ট্র দিয়েছে। অসমজুড়ে এই নথিভুক্তির জন্য ৯৫ জন মুসলিম নিবন্ধক বা কাজি রয়েছেন। তাঁদের সরকারি কর্মচারী হিসেবেই গণ্য করা হয়।

অসম সরকারের যুক্তি

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় অসম মন্ত্রিসভা। মার্চ মাসে, সরকার অবিলম্বে ১৯৩৫ সালের আইন বাতিল করতে একটি অধ্যাদেশ বা অর্ডিন্যান্স জারি করে। তখন থেকেই অসমে মুসলমানদের মধ্যে বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদের নিবন্ধন নিয়ন্ত্রণকারী পুরোনো আইন কার্যত বাতিল হয়ে গিয়েছিল। এরপর বৃহস্পতিবার, অসম বিধানসভা সেই অধ্যাদেশ বা অর্ডিন্যান্সের বদলে অসম রিপিলিং বিল, ২০২৪ পাস করেছে। ১৯৩৫ সালের আইনটি বাতিল করার জন্য অসম সরকারের প্রধান যুক্তি যে পুরোনো আইন অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বিবাহ নিবন্ধনের অনুমতি দিয়েছিল। সেই কারণে ওই আইন বাতিল করা জরুরি হয়ে পড়েছিল 

অসম সরকারের মতে, বাতিল আইনের ৮ম ধারায় ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে একটি আবেদন করার পদ্ধতি উল্লেখ করা ছিল। যেখানে বলা হয়েছিল, 'যদি বর এবং বউয়ের কোনও একজন বা উভয়ই নাবালক হয়, তবে তাদের বিয়ের আবেদন বৈধ অভিভাবকদেরকে করতে হবে।' যা কার্যত ঘুরিয়ে বাল্যবিবাহের স্বীকৃতি বলেই অসম সরকারের দাবি। শুধু তাই নয়, আইনের ১০ম ধারা, যা রেজিস্টারে বিবাহ নথিভুক্ত করার পদ্ধতি নির্ধারণ করেছিল, সেখানেও একই কথা বলা ছিল।

আরও পড়ুন- জামাতই বাংলাদেশের আন্দোলনের পিছনে? জঙ্গি তকমা ঘোচালেন ইউনুস

নতুন আইনে বিয়ে নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে কাজিদের কোনও ভূমিকা রাখা হয়নি। বিবাহ নথিভুক্ত করবেন এলাকার সাব-রেজিস্ট্রার। নতুন আইনে বিয়ে নথিভুক্ত করতে সাতটি শর্ত মানতে হবে। সেগুলো হল- বিয়ের আগে মহিলার বয়স ১৮ বছর এবং পুরুষের বয়স ২১ বছর হতে হবে। বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র এবং পাত্রী উভয়পক্ষকেই সম্মতি দিতে হবে। অফিসারকে বিবাহ নথিভুক্তির নোটিস দেওয়ার আগে পাত্র বা পাত্রীর অন্ততপক্ষে একজনকে অবশ্যই নিবন্ধকের বা রেজিস্ট্রারের জেলার মধ্যে অন্তত ৩০ দিন বসবাস করতে হবে। বিয়ের আবেদনকারীদের পরিচয়, বয়স এবং বসবাসের স্থানের প্রত্যয়িত নথি-সহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি নথিভুক্তকরণের কমপক্ষে ৩০ দিনের আগে নথিভুক্তকারী আধিকারিককে নোটিশ দিয়ে জানাতে হবে। এই বিধানগুলো আসলে বিশেষ বিবাহ আইনেরই অনুরূপ। এসব দেখে বিরোধীরা অভিযোগ করছেন, মুসলিম বিবাহ আইনকে কার্যত তুলে দিয়ে বিশেষ বিবাহ আসন চালু করতে চাইছে অসম সরকার। যা আদতে মুসলিম জনসংখ্যা কমানোর লক্ষ্য নিয়েই সরকার করছে।

Advertisment