Without Snow in Kashmir: কাশ্মীরের শীতকালীন প্রধান পর্যটন কেন্দ্রগুলোর একটি গুলমার্গ। এই মরশুমে গুলমার্গে তুষারপাত হয়নি। যার ফলে পর্যটকের সংখ্যা কমেছে। যা স্কি রিসর্ট ব্যবসায় দারুণ প্রভাব ফেলেছে। সরকারি তথ্য বলছে, গত বছরের জানুয়ারিতে ৫৪৭ জন বিদেশি-সহ মোট ৯৫,৯৮৯ জন পর্যটক গুলমার্গে গিয়েছিলেন। এমাসের প্রথমার্ধের তথ্য এখনও মেলেনি। তবে, আধিকারিকরা বলছেন, এই যাত্রায় সংখ্যাটা গতবারের চেয়ে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ কম। তবে কাশ্মীরে তুষারপাত শুধুমাত্র পর্যটকদের জন্যই নয়। অন্যান্য কারণেও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই তুষারপাতের সাহায্যে স্থানীয় জলবায়ুর ভারসাম্য বজায় থাকে। পাশাপাশি, শীতকালীন ফসল উৎপাদন, উদ্যানপালন, নদীর জলস্রোত এবং নদীতে জলের প্রাপ্যতা, স্থানীয় অর্থনীতি উপকৃত হয়।
- গতবারের তুলনায় পর্যটক ৬০ শতাংশ কম।
- প্রাকৃতিক ভারসাম্য ব্যাহত হয়েছে।
- জানুয়ারিতে এখনও পর্যন্ত ১০০ শতাংশ (একদম হয়নি) বৃষ্টির ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
শুষ্ক শীত
বছরের শীতকালে কাশ্মীরের একটি প্রধান পর্যটন গন্তব্য গুলমার্গ। এই সময় তুষারপাতের অভাব সবচেয়ে বেশি দেখা গেলেও, পুরো জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ, এবছর শীতে বৃষ্টি বা তুষার ছাড়াই রয়ে গেছে। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে শীতকালীন বৃষ্টিপাত প্রধানত তুষারপাতের কারণে হয়। সাধারণত, এই অঞ্চলে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে প্রথম তুষারপাত হয়। তারপরে তা চলে জানুয়ারির বেশিরভাগ সময় ধরে। তবে এই মরশুমে বেশিরভাগ অঞ্চলই শুকনো। জম্মু ও কাশ্মীরে ডিসেম্বরে ৮০ শতাংশ বৃষ্টিপাতের ঘাটতি দেখা দেয়। জানুয়ারিতে এখনও পর্যন্ত ১০০ শতাংশ (একদম হয়নি) বৃষ্টির ঘাটতি ঘটেছে। এমনটাই বলছে, ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)-এর তথ্য। লাদাখে ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে মোটেও বৃষ্টিপাত হয়নি। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এই অঞ্চলে তুষারপাত হ্রাসের প্রবণতা দেখা দিলেও, শীত ঋতুটি জম্মু ও কাশ্মীরে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হ্রাস এবং তাপমাত্রার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি তুষারপাতের সামগ্রিক হ্রাসের প্রবণতার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। যা জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রভাবিত করবে। পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে বিদ্যমান এল নিনো, এই বছরে তুষারপাত কম হওয়ার জন্য অতিরিক্ত কারণ বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন- এবছরই ভয়ংকর পরমাণু যুদ্ধ! প্রস্তুতি উত্তর কোরিয়ার
এল নিনোর প্রভাব
প্রকৃতপক্ষে, গত এক দশকে বেশ কিছু বছর- ২০১৫, ২০১৮, ২০২২ জম্মু ও কাশ্মীরে শীতকাল তুলনামূলকভাবে শুষ্ক ছিল। তুষারপাত খুব কম হয়েছে। আইএমডির শ্রীনগর কেন্দ্রের প্রধান মুখতার আহমেদ আগেই বলেছিলেন, এল নিনোর কারণে এই শীতে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। তিনি বলেন, 'গত কয়েক মাস ধরে, এল নিনো অব্যাহত রয়েছে। আগামী মাসেও তা অব্যাহত থাকবে। এটি বিশ্বব্যাপী বায়ুমণ্ডলীয় সঞ্চালনকে প্রভাবিত করছে। যা বৃষ্টিপাতের ঘাটতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, এল নিনোর অনুপস্থিতিতেও কিছু বছর খুব কম তুষারপাত হয়েছে। যেমন ২০২২ (ডিসেম্বর), ২০১৮ (ডিসেম্বর-জানুয়ারি), ২০১৫ (জানুয়ারি), ২০১৪ (ডিসেম্বর), ১৯৯৮ (ডিসেম্বর-জানুয়ারি) এবং ১৯৯২ (ডিসেম্বর)।'