Explained: এবছরই ভয়ংকর পরমাণু যুদ্ধ! প্রস্তুতি উত্তর কোরিয়ার
North Korea War Preparation: উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, 'যে কোনও সময় যুদ্ধ শুরু হতে পারে।' দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করেছে যে উত্তর উপদ্বীপের পশ্চিম উপকূলে সমুদ্র সীমান্তে ইয়নপিয়ং দ্বীপের কাছাকাছি জলে কমপক্ষে ৬০ রাউন্ড গোলা নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া।
North Korea preparing for war in 2024: উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ২০২৩ সালের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বের কাছে একটি জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়েছেন। সেই বক্তৃতায় দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ, একতার সম্ভাবনাকে তিনি বাতিল করে দিয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়াকে 'শত্রু দেশ', 'বিদ্রোহী' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ।
Advertisment
যে কোনও সময় যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে জানিয়ে দিয়েছেন কিম।
আমেরিকার কথা মাথায় রেখে দূরপাল্লার পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়াকে লক্ষ্য করে ৬০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ কিমের তাঁর বক্তৃতায় যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কিম উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রের সম্ভার এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষারও আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি তিনটি নতুন স্পাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বক্তৃতায়, কিম উত্তর কোরিয়ার এই আক্রমণের প্রস্তুতির জন্য দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার বেপরোয়া পদক্ষেপকে দায়ী করেছেন। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, 'যে কোনও সময় যুদ্ধ শুরু হতে পারে।'
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ উত্তর কোরিয়া ২০২৩ সালে রেকর্ড সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে, ডিসেম্বরে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ICBM ক্ষেপণাস্ত্রও। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে পারে। শুধু তাই নয়, উত্তর কোরিয়া গত বছরের শেষের দিকেও একটি রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল। একটি গুপ্তচর উপগ্রহ কক্ষপথে পাঠিয়েছিল। রবিবার তার সর্বশেষ উৎক্ষেপণে, উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে যে তারা একটি মাঝারি-পাল্লার হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে নিক্ষেপ করেছে। ৬ জানুয়ারি, দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করেছে যে উত্তর উপদ্বীপের পশ্চিম উপকূলে সমুদ্র সীমান্তে ইয়নপিয়ং দ্বীপের কাছাকাছি জলে কমপক্ষে ৬০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে উত্তর কোরিয়া।
Ballistic Missile:২০২৪ সালের ১৪ জানুয়ারি, কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি প্রকাশিত এই ছবিতে উত্তর কোরিয়ার একটি জায়গায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা হচ্ছে। (KCNA via REUTERS)
রাসায়নিক কমপ্লেক্সের আধুনিকীকরণ শুধু তাই নয়, মার্কিন উপগ্রহে ধরা পড়েছে যে, উত্তর কোরিয়ার মানফো উনহা রাসায়নিক কমপ্লেক্সের আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। তার সম্প্রসারণ ঘটানোর কাজ চলছে। এই কমপ্লেক্স ক্ষেপণাস্ত্রের জ্বালানি এবং পরমাণু অস্ত্রের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক উত্পাদনে ব্যবহার করা হবে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (IAEA) জানিয়েছে যে ইয়ং বিয়নে একটি দ্বিতীয় পারমাণু চুল্লি চালু করা হয়েছে। এই চুল্লি অস্ত্র তৈরির জ্বালানির প্রয়োজনে ব্যবহার করা হতে পারে।
কোরিয়ার পরিস্থিতি 'সবচেয়ে বিপজ্জনক' সব মিলিয়ে গত কয়েক দশকের মধ্যে কোরিয়ার পরিস্থিতি 'সবচেয়ে বিপজ্জনক' বলে জানা গিয়েছে। ওয়াশিংটনের স্টিমসন সেন্টার থিংক ট্যাংক দ্বারা পরিচালিত উত্তর কোরিয়া বিশ্লেষণ ওয়েবসাইট ৩৮ নর্থ-এর প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক নিবন্ধে সতর্ক করা হয়েছে যে কিমের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো ভয়ংকর হতে পারে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের উত্তর-পূর্ব এশিয়া বিভাগের প্রাক্তন প্রধান রবার্ট কার্লিন এবং মন্টেরির মিডলবেরি ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক সিগফ্রিড হেকার জানিয়েছেন যে কোরীয় উপদ্বীপের নিরাপত্তা পরিস্থিতি 'বিপজ্জনক'। যা, ১৯৫০ সালের জুনের পর সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।