Kejriwal interim bail: আবগারি নীতি ইস্যুতে ইডির মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই জামিন ইডির গ্রেফতারির ক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল। যা কার্যত কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডির ক্ষমতার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
মার্চে গ্রেফতার হয়েছিলেন কেজরিওয়াল
শুক্রবার (১২ জুলাই) সুপ্রিম কোর্ট দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে এই অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে। দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) মার্চ মাসে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল। শুক্রবারের জামিন কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির বৈধতা এবং প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
ইডির ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন
বিচারপতি সঞ্জীব খন্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের দুই বিচারপতির বেঞ্চ, একটি বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA), ২০০২-এর ১৯ ধারার অধীনে ইডির গ্রেফতারির ক্ষমতা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে যে কেজরিওয়াল, '৯০ দিনের বেশি কারাভোগ করেছেন'। বৃহত্তর বেঞ্চ ইডির গ্রেফতারির ক্ষমতা সংক্রান্ত সমস্যার নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত তিনি জামিনে মুক্ত থাকবেন। আর, আদালতের এই মনোভাবই কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডির গ্রেফতারির ক্ষমতার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে চলেছে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
জেলেই থাকছেন কেজরিওয়াল
তবে, জেল থেকে বের হতে পারছেন না অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কারণ, একই আবগারি নীতি মামলায় সিবিআই কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে। তার ফলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই হেফাজতেই থাকতে হবে। তবে, ইডির মামলায় জামিন পাওয়ায়, কেজরিওয়ালের একই মামলায় সিবিআই হেফাজত থেকেও মুক্তি শীঘ্রই ঘটবে বলেই আইনজীবী মহলের একাংশের ধারণা।
আরও পড়ুন- অস্ট্রিয়ায় নেহরুর পথেই মোদী! সামনে বাজানো হল বন্দে মাতরম! নির্জোট বিশ্বরাজনীতিতে পদক্ষেপ
পিএমএলএ (PMLA)-এর ১৯ ধারা কী?
পিএমএলএ (PMLA)-এর ১৯ ধারা গ্রেফতারির ক্ষমতা নিয়ে কাজ করে। ধারা ১৯ (১) অনুযায়ী, ইডি ডিরেক্টর যদি 'তাঁর কাছে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে কোনও ব্যক্তিকে এই আইনের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের জন্য দোষী বলে বিশ্বাস করেন, তিনি সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করাতে পারেন।' সঙ্গে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই ব্যক্তিকে তাঁর গ্রেফতারির কারণ সম্পর্কে ইডি জানাবে বলেই আইনটিতে বলা আছে।
কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে যুক্তি
কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করার সময় ইডির কাছে কিন্তু, সরাসরি কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে কোনও তথ্য এবং প্রমাণ ছিল না। তাই তাঁকে গ্রেফতারের প্রয়োজন ছিল না বলেই আদালতের ধারণা। অন্যদিকে, ইডি ধারা ১৯-এর একটি বিশেষ ক্ষেত্রের ওপর এই গ্রেফতারির সময় জোর দিয়েছে। সেই বিষয়টি হল, দোষী বলে 'বিশ্বাস করা'। যে বিশ্বাসের কারণ বা প্রমাণ, গ্রেফতারির আগে না-ও থাকতে পারে। কিন্তু, গ্রেফতারির পরে বিষয়ভিত্তিক তদন্তে পাওয়া সম্ভব। এমনটাই বলা আছে আইনে। আর, সেই বিশ্বাস থেকেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই দাবি ইডির।