Advertisment

Explained: মাত্র চার বছরের দল, সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মিজোরামে ক্ষমতায়, কীভাবে ঘটল পালাবদল?

২০১৭ সালে এই জোট তৈরি হয়েছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Lalduhoma & ZPM: behind the remarkable result in Mizoram

মিজোরামের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন লালদুহোমা। (এক্সপ্রেস ছবি সুকৃতা বড়ুয়া)

মিজোরাম বিধানসভা নির্বাচনে জোরাম পিপলস মুভমেন্ট (জেডপিএম), মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টকে (এমএনএফ) বিরাট ব্যবধানে পরাজিত করেছে। জেডপিএম এই পার্বত্য রাজ্যে এবার সরকার গঠন করবে। ২০১৭ সালে গঠিত এই দল এই প্রথমবার মিজোরামে স্বীকৃত রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করল। এর উত্থান লক্ষণীয়। কারণ, এই প্রথমবার এমএনএফ এবং কংগ্রেস বাদে অন্য কোনও রাজনৈতিক দল মিজোরামে ক্ষমতায় এল।

Advertisment

কীভাবে তৈরি হয়েছিল জেডপিএম?
জেডপিএম ২০১৭ সালে ছ'টি ছোট আঞ্চলিক দল এবং সুশীল সমাজ গোষ্ঠীর একটি জোট হিসেবে একটি অ-কংগ্রেসি এবং অ-এমএনএফ রাজনৈতিক বিকল্প হিসেবে মিজোরামে তৈরি হয়। এই জোট ক্ষমতায় এলে শাসনে দুর্নীতি মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। জোটের দলগুলোর অন্যতম জোরাম জাতীয়তাবাদী দল। যার প্রতিষ্ঠাতা নেতা লালদুহোমা। তিনি এবার মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন।

কীভাবে উঠে এল জেডপিএম দল?
২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও জেডপিএম রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি পায়নি। এই জোট সেই সময় ৩৮ জন নির্দলকে সমর্থন করেছিল। জেডপিএম সমর্থিত প্রার্থীদের মধ্যে আট নির্বাচনে জিতেওছিলেন। এবার এই জোট দল হিসেবে স্বীকৃতিলাভ করেছে। পার্বত্য রাজ্য মিজোরামের আগের শাসক দল এমএনএফের প্রধান বিরোধী হিসেবে উঠে এসেছে। ৪০ সদস্যের মিজোরাম বিধানসভায় ২৬ আসনে জিতেছে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে যা বেশি। জেডপিএমের উত্থানের সঙ্গেই কংগ্রেস মিজোরামে আরও পিছিয়ে পড়েছে। কংগ্রেস ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মিজোরামে মাত্র পাঁচটি আসনের জন্য ক্ষমতা থেকে ছিটকে গিয়েছিল। আর, এবার সেরচিপ আসনে মুখ্যমন্ত্রী হতে চলা জেডপিএমের লালদুহোমা বর্তমান এবং পাঁচবারের কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওলাকে পরাজিত করেছেন।

পাঁচ বছরে কী এমন বদলাল?
জেডপিএম ২০১৯ সালে রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি পায়। কিন্তু, তার আগেই ২০১৮ সাল থেকে এই দল একটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের মর্যাদা পায়। এটি ক্রমশ ছন্নছাড়া জোট থেকে রাজনৈতিক দলে পরিবর্তিত হয়েছে। তাদের প্রথম বড় জয় এসেছিল ২০২১ সালে। তার আগে ২০১৮ সালে নির্দল হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন লালডুহোমা। তাঁকে মিজোরাম বিধানসভায় অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০২১ সালে উপনির্বাচন হয়। কিন্তু, সেখানেও সেরচিপ আসনে জয়ী হন লালডুহোমা। শুধু তাই নয়, চলতি বছরের এপ্রিলে মিজোরামের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লুংলেইতে মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের ১১টি আসনের সবকটিতেই জয়ী হয় জেডপিএম। ২০২৩-এর এপ্রিলেই জেমাবাওক মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের উপনির্বাচনে সাতটি আসনে জয়ী হয়।

আরও পড়ুন- বিরাট বিপদ থেকে বেঁচে গেলেন মুকেশ অম্বানি, বাতিল সেবির নির্দেশ!

জেডপিএমের সাফল্য
এই এলাকা আবার জোরামথাঙ্গার বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। যেখানে স্থানীয় বহু ব্যক্তিত্ব জেডপিএমের সঙ্গে জুড়ে যান। যাঁদের মধ্যে আছেন জেজে লালপেখলুয়া। তিনি ভারতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার। এছাড়াও আছেন লালনহিঙ্গলোভা হামার। তিনি তেতা হামার নামেও পরিচিত। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের একজন কার্যনির্বাহী সদস্য এই তেতা হামার। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে জেজে এবং তেতা দু'জনেই বর্তমান মন্ত্রীদের পরাজিত করেছেন।

bjp CONGRESS Mizoram Mizoram Assembly Election 2023
Advertisment