Law Commission and its role: কেন্দ্রীয় সরকার ২৩তম আইন কমিশনকে ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর করার জন্য নোটিস দিয়ে জানিয়েছে। নতুন এই কমিশনের মেয়াদ থাকবে তিন বছর। কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থির নেতৃত্বাধীন আগের কমিশনের মেয়াদ ৩১ অগাস্ট শেষ হয়েছে।
কমিশনকে এমন সময়ে কার্যকর করা হল, যখন বিজেপি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এজেন্ডা লাগু করার দাবিতে সরব। লোকসভা এবং বিধানসভাগুলোয় একযোগে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে কেন্দ্রের প্রধান শাসক দল। আর, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং সেই সব দাবির পালে হাওয়া দিয়েছেন।
আইন কমিশন এবং তার গুরুত্ব
আইন কমিশন হল সংসদে তৈরি আইনের দ্বারা সৃষ্ট নয়। কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রক একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরকারকে আইনের কার্যকারিতা পর্যালোচনা করতে, অপ্রচলিত আইন বাতিলের পরামর্শ দিতে এই আইন কমিশন গঠন করে থাকে। কমিশন সাধারণত সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির সভাপতিত্বে চলে। এর সদস্য হিসেবে আইনজ্ঞরা থাকেন। নতুন প্যানেল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে কমিশনে চাকরিরত বিচারকদেরও নিয়োগ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন- ২৫-এ অদৃশ্য হবে' শনির বলয়! ভয়ংকর ঘটনার মুখে বিশ্ব?
স্বাধীনতার পর থেকে নিযুক্ত ২২টি আইন কমিশন সরকারের কাছে মোট ২৮৯টি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সমাধান কার্যকর করার ব্যাপারে সরকারের কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তবুও, কমিশনের সুপারিশগুলি মেনে কয়েক দশক ধরে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৯৭৩ (সিআরপিসি) এবং শিশুদের বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার আইন, ২০০৯ (আরটিই আইন)-সহ গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়ন এবং সংশোধন করা করেছে। শুধু তাই নয়, ২০তম আইন কমিশন তাদের রিপোর্টে 'অবিলম্বে বাতিল' করার সুপারিশের পরে ১,৫০০টিরও বেশি অপ্রচলিত কেন্দ্রীয় আইন বাতিল করার প্রক্রিয়াটি সরকার চালু করেছিল।
২ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রক প্রকাশিত নোটিশে বলা হয়েছে, আইন কমিশনে একজন সর্বক্ষণের চেয়ারপার্সন, একজন সদস্য-সচিব সহ চার জন পূর্ণকালীন সদস্য, পাঁচ জনেরও বেশি অংশিক সময়ের সদস্য এবং আইন বিষয়ক সচিব থাকবেন। আর, লেজিসলেটিভ বিভাগগুলো পদাধিকারবলে এর সদস্য থাকবে। কমিশনের মেয়াদ কার্যকর থাকবে ২০২৭ সালের ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত।