লকডাউন ৪.০ নির্দেশিকা
কেন্দ্র ১৭ মে রবিবার আরও ১৪ দিনের জন্য, অর্থাৎ ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়েছে, তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ও দিয়েছে। সমস্ত আর্থিক কাজকর্ম এবার শুরু করা যাবে এবং যথেষ্ট পরিমাণ জনচলাচলও করা যাবে। এবারের লকডাউনে সাধারণ মানুষ, অর্থনীতি, ও আয়ের জন্য মুখিয়ে থাকা রাজ্য সরকারের জন্য কী পাওয়া গেল দেখে নেওয়া যাক।
সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে কী বদল ঘটল?
অনেকটাই। গণ পরিবহণ থেকে বাজার, সমস্ত কিছুই নন-কনটেনমেন্ট জোনে খোলা থাকবে। সমস্ত কারখানা, উৎপাদন শিল্প, সাপ্লাই লাইন ও অফিস খোলা যাবে। বাস ও প্রাইভেট গাড়ি বিশেষ বিধি মেনে চলতে পারবে। সরকার কার্যত কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া বাকি জোনের ধারণা তুলেই দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ১ লক্ষ ছাড়াল সংক্রমণ, তবে আশঙ্কার তুলনায় দেরিতেই
এর আগে রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে পর্যায়ক্রমিক ছাড় ছিল, সবচেয়ে বেশি বিধিনিষেধ ছিল রেড জোনে।
এবার থেকে আর জোন ভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা বা ছাড় রইল না, সমস্তটাই দেশ জুড়ে কার্যকর হবে।
তাহলে অনুমতি থাকল না কোন ক্ষেত্রে?
কেন্দ্রের গাইডলাইন অনুসারে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহণ, মেট্রো রেল পরিষেবা বন্ধ। পরিযায়ী শ্রমিক ও সাধারণ মানুষদের নিয়ে বিশেষ ট্রেন চলবে।
স্কুল, কলেজ এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে, বন্ধ থাকবে হোটেল, সিনেমা হল, মল, সুইমিং পুল ও জিম।
রেস্তোরাঁয় খেতে না যেতে পারলেও হোম ডেলিভারি অর্ডার করা যাবে।
সমস্ত সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কার্যকলাপ ও জমায়েত বন্ধ থাকবে, সমস্ত ধর্মস্থানও বন্ধ থাকবে।
সহায়ক কর্মসূচির কী হবে?
স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও স্টেডিয়াম খুলে দেওয়া হয়েছে, তবে তাতে দর্শক থাকবে না। এবং আইপিএল-এর জন্য টিভির দিকে তাকিয়ে খুব লাভ এখন নেই।
পার্কগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে, প্রাতঃকালীন শরীরচর্চা সেখানে সেরে নেওয়া যেতেই পারে।
আরও পড়ুন: স্টেডিয়াম খুলে গেল, এবার কি আইপিএল হতে পারে?
আর কী অনুমোদিত বা অনুমোদিত নয়, সে ব্যাপারে বিশেষ কোনও জ্ঞাতব্য রয়েছে?
গাইডলাইনে বলা হয়েছে, পূর্বোক্ত নিষিদ্ধ বিষয়গুলি ছাড়া সবই অনুমোদিত। অর্থাৎ, সেলুন, সালোঁ, স্পা, গৃহকর্মী, ইলেক্ট্রিশিয়ান, এসি রিপেয়ার ও সার্ভিসিংয়ের লোক, গাড়ি সাফাইকারী, সবই অনুমোদিত।
মার্কেট কমপ্লেক্সের মধ্যে থাকা মদের দোকানও খুলতে পারবে।
অত্যাবশ্যকীয় নয়, এমন পণ্যের ই-কমার্স, যা আগে রেড জোনে সীমাবদ্ধ ছিল, তা এবার অনুমোদিত। সাইকেল রিক্সা, অটো রিক্সা ও ট্যাক্সি চলবে। এমনকি বাস সহ অন্য যানের যাত্রী সীমাও তুলে দেওয়া হয়েছে।
অফিসেও ১০০ শতাংশ হাজিরা দেওয়া যাবে, তবে সরকার যতদূর সম্ভব ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে।
তাহলে কি গাড়ি নিয়ে বা বাসে চড়ে অন্য রাজ্যের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া যেতে পারে?
টেকনিক্যালি পারে। সরকার সমস্ত আন্তঃরাজ্য পরিবহণে ছাড় দিয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সম্মতি প্রয়োজন। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় রাজ্যের হাতে কেন্দ্রীয় আইনে দেওয়া ছাড় অমান্য করার অধিকার রয়েছে। ফলে কোনও রাজ্য যদি সীমানা বন্ধ করে রাখতে চায়, তাহলে তারা তা পারে।
সুতরাং যাত্রা শুরুর আগে যে রাজ্যে রয়েছেন ও যে রাজ্যে যেতে চান, এবং যে রাজ্যের মধ্যে দিয়ে যেতে চান, তাদের গাইডলাইনের জন্য অপেক্ষা করুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন