ঘুমের সময় বাড়লেও সুনিদ্রা হয়নি লকডাউনে

আমাদের কাজ ও বিশ্রামের যে চক্র, তা অধিকাংশ সময়েই আমাদের শরীরের অভ্যন্তরস্থ বায়োলজিকাল ঘড়ির সঙ্গে মেলে না।

আমাদের কাজ ও বিশ্রামের যে চক্র, তা অধিকাংশ সময়েই আমাদের শরীরের অভ্যন্তরস্থ বায়োলজিকাল ঘড়ির সঙ্গে মেলে না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
lockdown sleep cycle research

প্রতীকী ছবি

সুইজারল্যান্ডের বাসেল ইউনিভার্সিটি এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই মানসিক হাসপাতাল কোভিড-১৯ জনিত লকডাউনে ঘুম কীভাবে বদলে গিয়েছে সে নিয়ে সমীক্ষা করেছে। গবেষকরা ৪৩৫ জনের উপর এই সমীক্ষা চালিয়েছেন। এঁদের অধিকাংশই বলেছেন, তুলনামূলক ভাবে দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমোলেও তাঁদের ঘুমের মানের অবনতি হয়েছে। এই গবেষণা 'কারেন্ট বায়োলজি' জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisment

গত ২৩ মার্চ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৬ সপ্তাহ সময় জুড়ে অনলাইন সার্ভে চালান গবেষকরা। সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও জার্মানির ৪৩৫ জন উত্তরদাতার ৭৫ শতাংশই ছিলেন মহিলা। এঁদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ সে সময়ে বাড়ি থেকে কাজ করছিলেন।

আরও পড়ুন: র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কী?

Advertisment

আমাদের কাজ ও বিশ্রামের যে চক্র, তা অধিকাংশ সময়েই আমাদের শরীরের অভ্যন্তরস্থ বায়োলজিকাল ঘড়ির সঙ্গে মেলে না। যদি কাজের দিন ও ছুটির দিনের মধ্যে ঘুমের সময় এবং সময়কাল বেড়ে যায়, তাহলে সামাজিক জেটল্যাগ তৈরি হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সামাজিক ছন্দ শিথিল হওয়ার ফলে, অর্থাৎ কাজের নির্ঘণ্ট শিথিল হওয়ার ফলে, সোশাল জেটল্যাগ কমেছে।

গবেষকরা বলছেন, এর ফলে ইঙ্গিত মিলছে যে যাঁদের নিয়ে গবেষণা চালানো হয়েছে তাঁরা সামাজিক ছন্দের চেয়ে শরীরস্থ বায়োলজিকাল সংকেত দ্বারা অধিক পরিচালিত হয়েছেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন