Major train accidents of the last decade: সোমবার (৭ জুন) সকালে পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ির কাছে একটি মালবাহী ট্রেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ধাক্কা দিলে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪১ জন। রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সংঘর্ষে এক্সপ্রেস ট্রেনের পিছনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। যান্ত্রিক ত্রুটি থেকে কর্তব্যে অবহেলা, একাধিক কারণে গত এক দশকে ভারতে বেশ কয়েকটি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখানে তার কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরা হল।
১. ২০১৪ সালে গোরক্ষধাম এক্সপ্রেস
২৬ মে, ২০১৪-এ, হিসার-গোরক্ষপুর লাইনে গোরক্ষধাম এক্সপ্রেস উত্তরপ্রদেশে একটি ডাবল লাইন সেকশনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় এর লোকোমোটিভ ইঞ্জিনটি ১১টি কোচ-সহ লাইনচ্যুত হয়। তৎকালীন রেল প্রতিমন্ত্রী মনোজ সিনহা লোকসভায় জানিয়েছিলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি এই দুর্ঘটনার কারণ। যা ট্রেনের পথকে অন্য রেললাইনে স্যুইচ করতে সাহায্য করে, সেই সরঞ্জাম ঠিকমতো কাজ করেনি। ২০১৬ সালে কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটি (CRS) একটি সরকারি রিপোর্টে জানায়, 'রেলকল্যাণে ব্যর্থতাগুলোকে সাধারণত পরিসংখ্যান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু, প্রতিটি ব্যর্থতার সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার।' ওই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৯ জন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছিলেন। আর, ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিলেন।
২. ২০১৫ সালে জনতা এক্সপ্রেস
বারাণসী-দেরাদুন জনতা এক্সপ্রেস উত্তরপ্রদেশের একটি স্টেশনে থামেনি। যার ফলে ২০ মার্চ, ২০১৫ সালে একটি ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটে। কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনের ইঞ্জিন এবং দুটি বগি লাইনচ্যুত হয় বলেই জানিয়েছিলেন রেলের মুখপাত্র। পরবর্তী তদন্তে বলা হয়, ব্রেকিং সমস্যার ফলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটি সুপারিশ করেছিলেন, ট্রেনের ব্রেক পাওয়ার সার্টিফিকেশন-সহ সবকিছুই যেন বারবার করে পরীক্ষা করা হয়। ওই দুর্ঘটনায় প্রায় ৩৯ জন যাত্রী মারা যান। আহত হন ১৫০ জন।
আরও পড়ুন- কোথায় গেল ‘কবচ’ ব্যবস্থা, শুধুই প্রচার? কেন রোখা গেল না কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনা!
৩. ২০১৬ সালে ইন্দোর-পাটনা এক্সপ্রেস
২০ নভেম্বর, ২০১৬-এ, কানপুর গ্রামীণ জেলার পুখরায়ান এলাকায় ইন্দোর-পাটনা এক্সপ্রেসের ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনাটিতে ১৫২ জনের মৃত্যু হয়। যা ছিল, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রেল দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মৃত্যুর অন্যতম ঘটনা। এই দুর্ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদী নাশকতা বলে দায়ী করে সরকার তদন্তভার তুলে দিয়েছিল, জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) হাতে। রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু বলেছিলেন, 'বহিরাগতরা এক্ষেত্রে সম্ভবত হস্তক্ষেপ করেছেন।' ২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশে একটি নির্বাচনী সমাবেশে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই ট্রেন দুর্ঘটনাকে 'ষড়যন্ত্র' বলে অভিযোগ করেছিলেন।