Anura Dissanayake: ভারতের সঙ্গে দিসানায়েকের দল জেভিপির সম্পর্ক খারাপ। জেভিপি চিনপন্থী। শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় হস্তক্ষেপের বিরোধী। ভারতীয় পণ্য, ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রচারকারী। ভারতপন্থী ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির প্রধানকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে জেভিপির বিরুদ্ধে।
Anura Dissanayake: দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় প্রথমবার ক্ষমতায় এল মার্কসবাদীরা। একসময় ভারতের অতি ঘনিষ্ঠ দ্বীপ শ্রীলঙ্কাতে চিন দীর্ঘদিন ধরেই তাদের ভিত্তি জোরদার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এজন্য প্রচুর অর্থও বিনিয়োগ করেছে শি জিনপিঙের দেশ। এবার চিনে মার্কসবাদীরা ক্ষমতায় আসায় কার্যত চিনের ভিত্তিই পোক্ত হল। এমনটা বলাই যায়। মার্কসবাদী অনুরা কুমারা দিসানায়েকে (একেডি নামে পরিচিত) শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকট চরম আকার নিয়েছিল। ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রে।
Advertisment
সেই শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মত দ্বিতীয় দফার ভোটগণনা হল। ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ২০ নাগাদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। ২০১৯ সালে দিসানায়েকে শ্রীলঙ্কার মোট ভোটের মাত্র ৩ শতাংশ পেয়েছিলেন। সেই হিসেবটাই যেন বদলে গেল এবার। জয়ের পর দ্বীপরাষ্ট্রের এই নতুন মহানায়ক সোশ্যাল মিডিয়ায় সশস্ত্র সংগ্রামের অতীত মুছে, শ্রেণি সংগ্রাম এবং বাস্তববাদের ভারসাম্য রক্ষা করে লিখেছেন, 'একশো বছর ধরে আমরা যে স্বপ্ন দেখছিলাম, তা অবশেষে সত্যি হল। অনেকে এই দিনটা দেখার জন্য আত্মত্যাগ করেছেন। তা ভোলার নয়। আমরা শ্রীলঙ্কার নতুন ইতিহাস লিখব।'
The dream we have nurtured for centuries is finally coming true. This achievement is not the result of any single person’s work, but the collective effort of hundreds of thousands of you. Your commitment has brought us this far, and for that, I am deeply grateful. This victory… pic.twitter.com/N7fBN1YbQA
দিসানায়েকের প্লাস পয়েন্ট যে তিনি মাটির মানুষ। আর, এই জনভিত্তির ওপর ভর করেই সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে শ্রীলঙ্কা শাসন করা রাজনৈতিক দলগুলোকে তিনি পরাজিত করলেন। এবার দিসানায়েকে এবং তাঁর দল কীভাবে প্রথাগত রাজনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেয়, সেটা দেখার অপেক্ষায় দ্বীপরাষ্ট্রবাসী। শ্রীলঙ্কার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রানিল বিক্রমাসিংহে বার্তায় নতুন প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, 'প্রেসিডেন্ট অনুরা দিসানায়েকে, আমি আপনার হাতে শ্রীলঙ্কার প্রিয় সন্তানদের যত্নের দায়িত্বভার তুলে দিচ্ছি।'
১৯৬৮ সালের ২৪ নভেম্বর গালেওয়েলায় জন্মগ্রহণ করেন।
অনুরা কুমারা দিসানায়েকে পেয়েছেন ৪২.৩১% ভোট।
সজিথ প্রেমাদাসা ৩২.৭১% ভোট পেয়েছেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট রানিল বিক্রমাসিংহে মাত্র ১৭.২৭% ভোট পেয়েছেন।
১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় দিসানায়েকে, জনতা বিমুক্তি পেরামুনা (জেভিপি) নামের বামপন্থী মার্কসবাদী-লেনিনবাদী পার্টির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। এই দল ১৯৭১ থেকে ১৯৮৯-এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় সশস্ত্র সংগ্রামের চেষ্টা চালিয়েছিল। সেই সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্য ছিল, গ্রামের যুবকদের একত্রিত করে শ্রীলঙ্কা থেকে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে উৎখাত করা। শ্রীলঙ্কা থেকে শোষণ এবং সামন্তবাদের অবসান ঘটানো।