বিশ্লেষণ: বিএসএনএল-এমটিএনএল সংযুক্তি, জরুরি তথ্য

২০০৯-১০ থেকেই লোকসানে চলছে বিএসএনএল। সারা ভারতে বিএসএনএল-এর কর্মীসংখ্যা ১.৬৫ লক্ষ এবং এমটিএনএলের কর্মী সংখ্যা আরও ২২ হাজার।

২০০৯-১০ থেকেই লোকসানে চলছে বিএসএনএল। সারা ভারতে বিএসএনএল-এর কর্মীসংখ্যা ১.৬৫ লক্ষ এবং এমটিএনএলের কর্মী সংখ্যা আরও ২২ হাজার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
BSNL, BSNL-MTNL Merger

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিগোষ্ঠী এর আগে টেলিকম দফতর (ডট)-এর দেওয়া পুনরুজ্জীবনের প্রকল্প অনুমোদন করেছিল

বুধবার সরকার ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল) এবং মহানগর টেলিকম নিগম লিমিটেড (এমটিএনএল) -এর সংযুক্তিকরণ এবং পুনরুজ্জীবনের প্রকল্পে সম্মতি দিয়েছে। দুটি সংস্থা ব্যাপক ক্ষতির মুখে এবং নিজেদের সেক্টরে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার মুখে। এমটিএনএল দিল্লি ও মুম্বইয়ে টেলিফোন পরিষেবা দিয়ে থাকে। বিএসএনএল সে পরিষেবা দিয়ে থাকে অবশিষ্ট ভারতে। দুটি সংস্থাই যেহেতু কঠোর প্রতিযোগিতা এবং টারিফের কমতি নিয়ে ব্যাপক প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে, সে কারণে দুটি সরকারি সংস্থার পুনরুজ্জীবনের প্রকল্প একসঙ্গে গ্রহণ করা হয়েছে। বিএসএনএল এবং এমটিএনএল যেসব কারণে কঠোর প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে তার মধ্যে রয়েছে, মোবাইল পরিষেবা, কর্মীদের জন্য প্রচুর খরচ এবং ৪জি পরিষেবার অনুপস্থিতি (বিএসএনএল-এর কয়েকটি ক্ষেত্র ব্যাতিরেকে)।

Advertisment

বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি কী?

২০০৯-১০ থেকেই লোকসানে চলছে বিএসএনএল। সারা ভারতে বিএসএনএল-এর কর্মীসংখ্যা ১.৬৫ লক্ষ এবং এমটিএনএলের কর্মী সংখ্যা আরও ২২ হাজার। ২০১৫-১৬ সালে বিএসএনএলের ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৪৮৫৯ কোটি টাকা, ২০১৬-১৭-য় ৪৭৯৩ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ সালে ৭৯৯৩ কোটি টাকা, এবং সে ক্ষতির পরিমাণ ২০১৮-১৯ সালে ১৪,২০২ কোটি টাকায় পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। খাস সংসদে এই তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, বিশ্লেষণ: ভারতের অপরাধ রিপোর্টে নতুন কী তথ্য রয়েছে?

Advertisment

রুগ্ন এই সংস্থাগুলি মন্ত্রিসভার প্রস্তাবে কীভাবে লাভবান হবে?

মন্ত্রিসভা যে সংযুক্তিকরণের প্রস্তাব দিয়েছে তা ছাড়াও, সংযুক্তিকরণের পর চতুর্পাক্ষিক কৌশলের কথাও বলা হয়েছে সেখানে। এর মধ্যে রয়েছে ৪জি পরিষেবার জন্য প্রশাসনিক বরাদ্দ, বন্ডের মাধ্যমে ঋণ পুনর্গঠন, স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মীদের জন্য খরচ হ্রাস এবং সম্পত্তির নগদীকরণ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিগোষ্ঠী এর আগে টেলিকম দফতর (ডট)-এর দেওয়া পুনরুজ্জীবনের প্রকল্প অনুমোদন করেছিল। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ডটের পুরুজ্জীবন প্রকল্পে ছিল আহমেদবাদের আইআইএম ও ডেলয়িটের দেওয়া পুনর্গঠন পরিকল্পনার কথা।

ক্রমবর্ধমান ডেটা-কেন্দ্রিক বাজারে বিএসএনএল-এমটিএনএল প্রতিযোগিতা করবে কীভাবে?

ক্যাবিনেটের দেওয়া প্রস্তাবের ফলে বিএসএনএল ও এমটিএনএলের ৪জি র মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ও অন্যান্য ডেটাভিত্তিক পরিষেবা দেওয়ার রাস্তা সাফ হয়ে গিয়েছে। এই স্পেক্ট্রামের জন্য যার পরিমাণ  অর্থ জোগাবে কেন্দ্র।

আরও পড়ুন, বিশ্লেষণ: সোশাল মিডিয়ায় আধার সংযোগ ও সুপ্রিম কোর্ট

আয় বৃদ্ধি ও ব্যয় হ্রাসের অন্যান্য পদ্ধতিগুলি কী?

বিএসএনএল এবং এমটিএনএল ১৫ হাজার কোটি টাকার দীর্ঘমেয়াদি বন্ড তুলতে পারবে, যার দায়িত্ব নেবে কেন্দ্র। দুটি সংস্থাই তাদের বর্তমান ঋণ পুনর্গঠন করতে পারবে। এ ছাড়া দুটি সংস্থাই তাদের পঞ্চাশ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী কর্মীদের জন্য স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প চালু করতে পারবে, যার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সাহায্য করবে কেন্দ্র। আরও ১৭,১৬৯ কোটি টাকা এক্স গ্রাশিয়া হিসেবে স্বেচ্ছাবসরের জন্য প্রয়োজন হবে। এ ব্যাপারে দুটি সংস্থাই বিশদে এ প্রকল্প চূড়ান্ত করে ফেলবে। রবিশংকর প্রসাদের কথায়, প্রায় অর্ধেক কর্মীই ওই বয়সসীমার মধ্যে পড়েন।

প্রস্তাবিত সম্পত্তির নগদীকরণ পরিকল্পনায় অতিরিক্ত আয় হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ২০১৮ সালের মার্চ মাসের হিসেবে বিএসএনএল-এর কাছে ৭০ হাজার কোটি টাকার জমি এবং ৩৭৬০ কোটি টাকার ইমারত ছিল।

Read the Full Story in English

bsnl