Combination drugs: কেন্দ্রীয় সরকার ১৫৬টি ফিক্সড-ডোজ কম্বিনেশন (এফডিসি) বা মিশ্রিত ওষুধকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল। এই ওষুধগুলো, ঠান্ডা লাগা, জ্বর এবং ব্যথা কমানোর জন্য ব্যবহৃত হত। যে ওষুধগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তার মধ্যে চেস্টন কোল্ড এবং ফোরাসেটের মতো জনপ্রিয় ওষুধও রয়েছে। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার আসার পর থেকে এফডিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি শুরু হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৪৯৯টি মিশ্রিত ওষুধকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই ধারা অক্ষুণ্ণ রেখে গত সপ্তাহে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে সরকার জানিয়েছে, নতুন ১৫৬টি ওষুধেরও রোগ সারানোর কোনও ক্ষমতাই নেই।
এফডিসি কি, এগুলো রোগীদের কীভাবে সাহায্য করে?
এফডিসি (FDC) হল এমন ওষুধ যাতে একাধিক সক্রিয় উপাদান থাকে। এই ওষুধের রাসায়নিক যৌগ শরীরে প্রভাব ফেলে। এটা বড়ি, ক্যাপসুল-সহ বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়। এফডিসিগুলো যক্ষ্মা এবং ডায়াবেটিসের রোগী-সহ বিভিন্ন রোগীদের দেওয়া হয়। রোগীদের চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন যে, এই এফডিসিগুলো প্রতিদিন খেতে হবে। তবে ওষুধের সংখ্যা কমবে। আর, চিকিৎসায় অগ্রগতি হবে। সেই অনুযায়ী, রোগীরা সেগুলো অন্যান্য ওষুধের মতই খেয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন- আবহাওয়া দফতরের ভবিষ্যদ্বাণী সবসময় মিলছে না, নতুন পরিকল্পনা সরকারের
কখনও কখনও, একজন রোগী এমন এফডিসি ওষুধ ব্যবহার করেন, যা তাঁর কাজে না-ও লাগতে পারে। যেমন, চেস্টন কোল্ড। এর মধ্যে জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল, অ্যালার্জি উপশমের জন্য সেটিরিজাইন এবং নাক বন্ধ দূর করার জন্য ফেনাইলেফ্রিন আছে। অর্থাৎ, যখন কোনও ওষুধ অ্যালার্জির কারণে হওয়া উপসর্গে রোগীকে সাহায্য করবে, সেটা কিন্তু ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের থেকে রক্ষা করার জন্য কাজে না-ও লাগতে পারে।
কী বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক?
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'প্রস্তুতকারকদের অবিলম্বে এই ওষুধগুলো উত্পাদন, মজুদ এবং বিক্রি বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এনিয়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়েছে। তবে এগুলো কিছু সময়ের জন্য বাজারে পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা দেখেছি কোন কোম্পানিগুলো এই নির্দেশের পরে আদালতে যাচ্ছে, সেটা। কারণ, অনেক সময় আদালত এই সব কোম্পানিগুলোকে ইতিমধ্যেই বাজারে থাকা তাদের ওষুধগুলো বিক্রি করার অনুমতি দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ওই ওষুধের ওপর সাময়িকভাবে কাজে লাগানো যাবে না।'