করোনার সঙ্গে লড়াই করে যখন হা-ক্লান্ত পৃথিবী, তখন মাঙ্কিপক্স নিয়ে আতঙ্কের অনুরণন, অনেকেরই প্রশ্ন, আমি কি সুরক্ষিত?
উত্তরটা স্বস্তিকর। কারণ, যে সব শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির রোগপ্রতিরোধশক্তি চাঙ্গা রয়েছে, তারা এই অসুখটির কড়া কামড়কে এড়াতে পারবেন। তবে এখানে বলতে হবে, দুটি হাই-রিক্স বা প্রবল ঝুঁকিতে হেলে থাকা দল রয়েছে, সেটা যে কোনও রোগে থাকে। একটি দল হল, যাদের বয়স ছ’মাসের কম। দ্বিতীয় দলটি বৃদ্ধবৃদ্ধাদের। কিন্তু এখনও রয়েছে একটি এসকেপ রুট। কী সেটা?
যে সব বয়স্করা স্মলপক্সের টিকা নিয়েছিলেন, তাঁরা মাঙ্কিপক্স থেকে বেশ খানিকটা সুরক্ষিত বলা যায়। হালকা উপসর্গেই মাঙ্কিপক্স থেকে তাঁদের মুক্তি। আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এজিংয়ের সায়েন্টিফিক ডিরেক্টর ডা. লুইগি ফেরুচি বলছেন, কেউ যদি ৫০ বছর আগেও স্মলপক্সের প্রতিষেধক নিয়ে থাকেন, তাঁর শরীরে এর অ্যান্টিবডি রয়েছে। এখানে এই তথ্যটিও দিতে হবে যে, স্মলপক্সের বিরুদ্ধে রুটিন প্রতিষেধক দেওয়ার পর্ব শেষ হয়েছে ১৯৭২ সালে।
বাইডেন সরকারের সংক্রামক রোগ সম্পর্কিত শীর্ষ পরামর্শদাতা অ্যান্তনি ফাউচি বলছেন, বেশির ভাগ প্রতিষেধক নেওয়া মানুষ এখনও সুরক্ষিত। তবে প্রতিষেধক কত দিন কাজ করবে কারও দেহে, তা নির্ভর করছে সেই ব্যক্তির রক্তের সক্ষমতার উপর। ফলে ফাউচি না বললেও একটা ঝুঁকি কিন্তু থেকেই যায়।
ফলে চিন্তার ঘড়ি ছুটিয়ে শনৈ শনৈ মাঙ্কিপক্স বাড়ছে, সারা পৃথিবীতে ২৬০ জনের এই অসুখ হয়েছে। ২১টি দেশে এটির গতিপ্রকৃতি কেমন, তার উপর নিরন্তন নজর রেখে চলা হচ্ছে।
আমেরিকার সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের হিসেবে সে দেশের সাতটি রাজ্যে মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। সেখানে নয় নয় করে ন’জন আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে। যাঁদের সকলের ট্র্যাভেল হিস্ট্রি ছিল না। মানে, যে সব দেশে মাঙ্কিপক্স মহামারি হয়ে উঠেছে, সেখান থেকে ফেরেননি তাঁরা। অনেকের এমনও মত যে, কোথাও কোথাও কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই এই অসুখের।
আরও পড়ুন- পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গাছের আবিষ্কার, সে গাছের আকার-আয়তন জানেন?
বৃহস্পতিবার সিডিসি-র প্রধান ডা. রোশেল ওয়েলনক্সি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আমেরিকার ৪৬টি রাজ্যে ৭৪টি ল্যাব মাঙ্কিপক্সের পরীক্ষায় উপলব্ধ। এক সঙ্গে তারা এক সপ্তাহে ৭ হাজার নমুনার পরীক্ষা করতে পারবে। সিডিসি এই ক্ষমতাটা আরও বাড়ানোর কাজ করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্স ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, এমনকি প্রাণও নিতে পারে। কিন্তু এটি এপিডেমিক হয়ে উঠবে না বলেই মনে হচ্ছে।
Read full story in English