একটানা ৭ দিন। গত সাতদিনে দেশে করোনা আক্রান্তের থেকে করোনাজয়ীর সংখ্যা বেশি। যা এককথায় রেকর্ড। এখনও পর্যন্ত এমন একটানা ট্রেন্ড দেখা যায়নি। যার জেরে দেশে অ্যাক্টিভ কেস ১০.১৭ লক্ষ থেকে কমে ৮.৯ লক্ষ হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৩ হাজার মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। যেখানে প্রায় ৮৩ হাজার মানুষ করোনামুক্ত হয়েছেন। এই পরিসংখ্যান দেখে মনে করা হচ্ছে, মহামারী তখনই শেষ হবে যখন দেশে আর নতুন করে কেউ সংক্রমিত হওয়ার থাকবে না। তবে এখনই মহামারী শেষ হওয়ার মুখে সেটা বলা যাবে না। সেইসময় আসেনি এখনও। তবে সুস্থতার হার বৃদ্ধি আশার আলো দেখাচ্ছে। বর্তমানে দেশে করোনায় সুস্থতার হার ৮৫.৮১ শতাংশ।
তবে এটাও সত্যি যে, সাময়িক স্বস্তি হতে পারে সুস্থতার হার বৃদ্ধি। যে কোনও সময়ে তা আবার নিম্নমুখী হতে পারে। এবং সংক্রমিতের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। যেমনটা হয়েছে কেরালার ক্ষেত্রে হয়েছে। ঈশ্বরের আপন দেশে আচমকা দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্য়া লাফিয়ে বাড়ছে। আবার গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নমুখী হওয়ার অন্যতম কারণ হল মহারাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্যভাবে আক্রান্তের সংখ্যা কমায়। গত ২০ দিন ধরে মহারাষ্ট্রে দৈনিক ১৬ হাজার নতুন করে সংক্রমণের খবর আসছে। তার আগে এই গড় ছিল প্রায় ২০ হাজারের মতো। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও ওই রাজ্যে তিন থেকে ২.৩৫ লক্ষে নেমে এসেছে। গোটা দেশের মধ্যে যা ২৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন করোনা ভাইরাসকে আদৌ নির্মূল করতে পারছে ভ্যাকসিন? উত্তর অক্টোবরেই
কেরালায় দিন দিন সংক্রমিতের দৈনিক গড় বেড়েই চলেছে। গত বুধবার প্রথমবার দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছোঁয়। আবার পরের দিন সেই সংখ্যা ৫৫০০-এর নিচে নেমে যায়। কিন্তু শুক্রবার সেই সংখ্যাটা বেড়ে ৯,২০০ হয়েছে। কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা জানিয়েছেন, দৈনিক সংখ্যা ১৫ হাজারের নিচে যাতে থাকে সেই চেষ্টা চলছে। আশা করছি নভেম্বরের শুরুতে গ্রাফ নিম্নমুখী হবে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসাবে শৈলজা দাবি করেছেন, জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৯ লক্ষ মানুষ রাজ্যে ফিরে এসেছেন। কেরালার জনঘনত্ব বেশি। তারপর ওনাম উৎসবের মানুষ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আনন্দে মেতেছেন। তাই আগস্ট থেকে সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন, জমায়েতের জেরেও আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মত তাঁর।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩,২৭২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯২৬ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৯,৭৯,৪২৪। মোট মৃত্যু ১,০৭,৪১৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৫৯,৮৮,৮২৩ জন। বর্তমানে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৮,৮৩,১৮৫। সুস্থতার হার ৮৫.৮১ শতাংশ। যেখানে মৃত্যুহার ১.৫৪ শতাংশ মাত্র।
আরও পড়ুন শীতেও বহাল থাকবে করোনার দাপট, বদলাবে না ভাইরাসের চরিত্র
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন