Elon Musk Blasts Trump’s Trade Adviser Navarro as Tariff Debate Boils Over: যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত নতুন শুল্ক নীতি বিশ্ববাজারে আলোড়ন তোলার পর, এবার হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরেও শুরু হয়েছে বিতর্ক। এরই মধ্যে টেসলার সিইও ইলন মাস্ক ও ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো-র মধ্যে সরাসরি বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে।
উভয়পক্ষের অবস্থান
৮ই এপ্রিল, এক্স (আগের টুইটার)-এ মাস্ক নাভারোকে আক্রমণ করে লিখেছেন, উনি 'একজন সত্যিকারের বোকা' আর 'একবস্তা বোঝাই ইটের থেকেও নীরেট'। এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপট ছিল নাভারোর একটি সাক্ষাৎকার, যেখানে তিনি বলেছিলেন, 'টেসলা কোনও প্রকৃত গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা নয়। বরং, বিদেশি যন্ত্রাংশ জোড়া দিয়ে গাড়ি বানায়।' মাস্ক জবাবে দাবি করেন, 'টেসলাই আমেরিকার সবচেয়ে বেশি ‘মেড ইন ইউএসএ’ গাড়ি তৈরি করে এবং এটি সবচেয়ে ভার্টিক্যালি ইন্টিগ্রেটেড কোম্পানি।'
তবে দ্বন্দ্বের মূল কারণ শুধু টেসলার গঠন পদ্ধতি নয়— বিষয়টি গভীরে গিয়ে ঠেকেছে ট্রাম্পের শুল্ক নীতিতে। মাস্ক দীর্ঘদিন ধরেই শুল্ক-বিরোধী অবস্থান নিয়ে চলছেন। ৫ এপ্রিল, এক সম্মেলনেও তিনি বলেন, 'আমার মতে, ইউরোপ ও আমেরিকার মধ্যে শুল্কহীন বাণিজ্য অঞ্চল তৈরি হওয়া উচিত।' এমন বক্তব্যে নাভারো কটাক্ষ করে বলেন, মাস্ক 'সস্তায় বিদেশি যন্ত্রাংশ চান' বলেই শুল্কের বিরোধিতা করছেন।
নাভারো, হোয়াইট হাউসের ট্রেড ও ম্যানুফ্যাকচারিং উপদেষ্টা এবং আগে জেল খেটেছেন কংগ্রেসের অবমাননার দায়ে। কিন্তু, তিনি শুল্ক নীতির প্রবল সমর্থক। তাঁর এই কঠোর অবস্থান মাস্কের মতো প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে বর্তমানে সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে।
এই বিবাদ নিয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, 'ছেলেরা ছেলেদের মতই আচরণ করছে। তাঁদের এই জনসমক্ষে ঝগড়া চলতেই থাকুক।'
আরও পড়ুন- কোন ১০টি দেশে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিলিয়নিয়ার? কত নম্বরে ভারত জানেন?
এই ঘটনায় আবারও স্পষ্ট হলো, ২০২৫ সালের আমেরিকান বাণিজ্যনীতি শুধুই রাজনৈতিক বিতর্ক নয়, প্রযুক্তি জগতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। যার জেরে মাস্কের মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে। মাস্ক ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান সমর্থক। তাঁর প্রচারে কয়েক মিলিয়ন ডলার ব্যয়ও করেছেন। ইলন মাস্কের ভাই কিম্বাল মাস্কও বর্তমান যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শুল্কনীতির কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি টুইটারে এনিয়ে একাধিক বক্তব্যও পোস্ট করেছেন। কিম্বাল মাস্ক সরাসরি অভিযোগ করেছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আসলে 'মার্কিন নাগরিকদের ওপর স্থায়ীভাবে কর' বসিয়েছেন। ফলে, নিজের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ অনুগামীর সঙ্গেই আসলে ট্রাম্পের লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে।