Explained: কেমন ছিল নেতাজির সঙ্গে গান্ধীজির সম্পর্ক, 'পরাক্রম দিবস'-এ ফিরে দেখা

রেঙ্গুন থেকে আজাদ হিন্দ রেডিওয় বার্তা দিয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র।

রেঙ্গুন থেকে আজাদ হিন্দ রেডিওয় বার্তা দিয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Netaji

অন্যান্যবারের মত এবারও ২৩ জানুয়ারি সাড়ম্বরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী পালিত হল। এবার দিনটি 'পরাক্রম দিবস' হিসেবে পালিত হয়েছে। সোমবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিপ্লবী নেতার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনে দেশবাসীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নেতাজি স্লোগান তুলেছিলেন 'জয় হিন্দ', 'তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব'। তারপর তিনি স্লোগান দিয়েছিলেন, 'জয় হিন্দ', 'দিল্লি চলো', 'ইতমাদ (বিশ্বাস)', 'ইত্তেফাক (ঐক্য)', কুরবানি (ত্যাগ)। কিন্তু, অনেকেই জানেন না যে তিনি মহাত্মা গান্ধীকে প্রথমবার 'জাতির জনক' আখ্যা দিয়েছিলেন।

Advertisment

নেতাজির বার্তা
অনেকেই গান্ধীজি এবং নেতাজির মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে অনেক কথা বলেন। দুই নেতার মতানৈত্য নিয়ে বহু কথা হয়। পাশাপাশি, তুলে ধরা হয় বেশ কিছু ঘটনাও। যেমন, ১৯৩৯ সালে কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে নেতাজির অপসারণের কথা বারবার বলা হয়। সেই সময় কংগ্রেস সভাপতি পদে দৃঢ়ভাবে নেতাজির বিরোধিতা করেছিলেন গান্ধীজি। তবে, তারপরও দেখা গিয়েছে যে গান্ধীজির প্রতি নেতাজির শ্রদ্ধা বিন্দুমাত্র কমেনি। কস্তুরবা গান্ধীর মৃত্যুর পর গান্ধীজিকে শোকবার্তা পাঠিয়েছিলেন নেতাজি। ১৯৪৪ সালের ৪ জুন, আজাদ হিন্দ রেডিওর মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছিল নেতাজির সেই শোকবার্তা।

আরও পড়ুন- বিয়ে করতে চান, কেমন পাত্রী চাই রাহুলের? ফাঁস করলেন নিজেই

রেজিমেন্টের নামকরণ
১৯৩৬ সালে গান্ধীজি গান্ধি সেবাগ্রাম আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই আশ্রমের ওয়েবসাইটে বলা আছে, 'কুইট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট শুরু হতেই বাপুকে আগা খান প্যালেসে বন্দি করা হয়েছিল। তিনি যখন জেলে সাজা কাটছেন, সেই সময় ১৯৪৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কস্তুরবা মারা যান। গান্ধীজির প্রতি উদ্বিগ্ন নেতাজি ১৯৪৪ সালের ৪ জুন রেঙ্গুন থেকে আজাদ হিন্দ রেডিওয় বার্তা দিয়েছিলেন।' তাতে নেতাজি বলেছিলেন, 'যদি আমাদের দেশবাসী নিজের চেষ্টায় অথবা কোনওভাবে স্বাধীনতা লাভ করে, তবে আমাদের চেয়ে কেউ বেশি খুশি হবে না। ব্রিটিশ সরকার আপনার ভারত ছাড় প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। আর, তার প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। যাইহোক আমরা বিশ্বাস করি যে এর কোনওটাই সম্ভব না, সংঘাত অনিবার্য। ভারতের স্বাধীনতার জন্য এই ধর্মযুদ্ধে জাতির জনক, আপনার কাছ থেকে আমরা শুভেচ্ছা এবং আশীর্বাদ চাইছি।' নেতাজি যখন আইএনএ তৈরি করেন, সেই সময়ে তিনি আইএনএর তিনটি ব্রিগেডের নামকরণ করেন গান্ধীজি, জওহরলাল নেহরু এবং মৌলানা আজাদের নামে।

Advertisment

Read full story in English

Mahatma Gandhi netaji Netaji Subhash Chandra Bose