হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে ৪ বছর জেলে থাকার পর বুধবার মুক্তি পেলেন প্রয়াত জয়ললিতার সহযোগী ভি কে শশীকলা। এদিন বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা অগ্রহারা জেল থেকে বেরিয়েই তাঁকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও সুস্থ হননি তিনি। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে হাসপাতালের সুপার ডা. রমেশ কৃষ্ণ জানিয়েছেন, আরও ৪-৫ দিন চিকিৎসা চলবে শশীকলার।
সোমবারই শশীকলার ভাইপো তথা এএমএমকে নেতা দিনাকরণ টুইট করে জানান, বুধবার ছাড়া পাচ্ছেন শশীকলা। তবে জেল থেকে মুক্তি পেলেও হাসপাতালেই থাকতে পরে পারে আভাস দিয়েছিলেন নেতা। তবে শশীকলা চেন্নাইয়ে ফিরলেও নিজের বাসভবন বেদা নিলায়ম ঢুকতে পারবেন না তিনি। কারণ রাজ্য সরকার সম্পত্তির দখল নিয়েছে। সেখানে একটি মেমোরিয়াল তৈরি করা হয়েছে। আগামিকাল সেটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন শুধু মমতা নন, আইপিএস অফিসারদের কেন্দ্রে পাঠাতে অস্বীকার করেছিলেন জয়ললিতাও
তবে নির্বাচনের মুখে শশীকলার কারামুক্তি তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের জন্ম দিয়েছে। যে পন্নিরসেলভমকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন তিনি, সেই এখন উপমুখ্যমন্ত্রী। জেলযাত্রার আগে এআইএডিএমকের যা অবস্থা ছিল, এখন তার অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। পালানিস্বামী ও পন্নিরসেলভম হাত মিলিয়েছেন। আমে-দুধে মিশে গিয়ে আঁটির দশা শশীকলার। এই অবস্থায় দলে নিজের জায়গা ফিরে পেতে ফের শূন্য থেকে শুরু করতে হবে তাঁকে। কিন্তু দলে ফিরলে আবার যদি ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেনি তিনি, সেটা কি পালানিস্বামীরা হতে দেবেন? উঠছে প্রশ্ন।
শশীকলার কাছে আরও একটা পথ রয়েছে। ভাইপো দিনাকরণের দলে যোগ দেওয়া। তারপর পুরনো দলের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় ফিরে আসার পথ খোলা রয়েছে তাঁর কাছে। কিন্তু এএমএমকে-তে যোগ দিয়ে তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরি করেও পুরনো দলকে শিক্ষা দিতে পারেন শশীকলা। শাসকদলের ভোট কাটলেই সুবিধা করতে পারেন তিনি। তবে জেল থেকে মুক্ত হলেও এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন শশীকলা। সেক্ষেত্রে রজনীকান্তের পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাজনীতি থেকে দূরে সরে যেতে পারেন তিনি। আপাতত সবরকম রাস্তাই খোলা রয়েছে আম্মার প্রাক্তন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর কাছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন