পাকিস্তানের আকাশপথ ভারতের জন্য নিষিদ্ধ হলে কী হবে?
উড়ানের সময়বৃদ্ধি ও বেশি জ্বালানি খরচের কারণে ভারতীয় বিমানসংস্থাগুলি লোকসানের মুখে পড়বে। গত বার পাকিস্তানি আকাশপথ বন্ধ হওয়ার কারণে ভারতীয় বিমানসংস্থাগুলির ক্ষতি হয়েছিল ৭০০ কোটি টাকার মত।
দেড় মাস হল সমস্ত অসামরিক বিমানের জন্য আকাশপথ খুলে দিয়েছে পাকিস্তান। এবার ফের তারা হুমকি দিয়েছে ভারত থেকে যেসব বিমান রওনা দেবে, সেগুলির জন্য তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়া হবে। জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের সাপেক্ষেই এই হুমকি। ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধরি মঙ্গলবার টুইট করে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ভারতের জন্য বিমানপথ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করছেন।
Advertisment
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দেয়। বালাকোটে ভারতীয় বিমানবাহিনীর আকাশ হামলার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ১৬ জুলাই সমস্ত অসামরিক বিমানের জন্য আকাশপথ খুলে দেয় তারা।
পাকিস্তান যে সাড়ে চার মাস ধরে তাদের আকাশপথ বন্ধ রেখেছিল, তাতে কীভাবে প্রভাবিত হয়েছিল ভারত, তার ভিত্তিতে একবার দেখে নেওয়া যাক ইমরান খান যদি সত্যিই পাক আকাশপথ ভারতের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেন, তাহলে কী হতে পারে।
যেসব বিমান পাকিস্তানের আকাশপথ সাধারণভাবে ব্যবহার করে, তাদের উড়ানসময় বাড়বে গড়ে ৭০ থেকে ৮০ মিনিট।
পাকিস্তানের উপর দিয়ে মোট ১১টি আকাশপথ রয়েছে। এর আগে একদম শুরুতে পাকিস্তান গোটা আকাশপথ বন্ধ করে দিলেও মার্চ মাস নাগাদ তা আংশিক খুলে দেওয়া হয়।
পাকিস্তান যদি তাদের আকাশপথ ফের বন্ধ করে দেয় তাহলে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখে পড়বে দিল্লি, লখনউ, দয়পুর, চণ্ডীগড়, অমৃতসরের মত উত্তরভারতের বিমানবন্দর থেকে ছাড়া পশ্চিমমুখী বিমানগুলি।
এই বিমানগুলিকে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা বা পশ্চিম এশিয়ায় যাবার জন্য গুজরাট ও মহরাষ্ট্রের দিকে দক্ষিণের দিকে গিয়ে আবার ডান দিকে ঘুরে আরব সাগরের উপর দিয়ে উড়ে যেতে হবে।
আগের বার দিল্লি থেকে শিকাগোগামী এয়ার ইন্ডিয়ার নন-স্টপ বিমানগুলিকে ইউরোপে তেল ভরার জন্য নামার পরিকল্পনা করতে হয়েছিল। দিল্লি থেকে ইস্তাম্বুলগামী নন স্টপ ইন্ডিগো বিমানগুলিকে জ্বালানি ভরার জন্য দোহায় নামতে হয়েছিল।