অর্থপাচার ও সন্ত্রাস রুখতে কাজ করে আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিনান্সিয়াস অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ। তাদের ধূসর অর্থাৎ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। এই খবরে এখন পাকিস্তানজুড়ে বইছে খুশির হাওয়া।
এফএটিএফ কী?
ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) বিশ্বজুড়ে কাজ করে। সন্ত্রাসকে প্ররোচনা দিতে অর্থ লেনদেনের ওপর নজরদারি চালায় এফএটিএফ। এর অর্থ হল, এফএটিএফ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সুশাসন কায়ের করতে চায়। বিশ্বব্যাপী আর্থিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছপ্রবাহ নিশ্চিত করতে তৎপর। জঙ্গিদের হাতে যাতে অর্থ না পৌঁছয়, সেটা নিশ্চিত করাই এফএটিএফের কাজ।
এফএটিএফের ধূসর তালিকা
এফএটিএফ জঙ্গিদের অর্থ দেওয়া ইস্যুতে তালিকা তৈরি করে। বিপজ্জনক দেশ, ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মত বিভিন্ন দেশের তালিকা বানায়। তালিকা তৈরির আগে সংস্থাটি বিভিন্ন দেশের কাজের ওপর সতর্কভাবে নজরদারি চালায়। সেই দেশের কাজকর্মের মূল্যায়ন করে। সেই মূল্যায়নে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আন্তর্জাতিক অর্থপাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থ ব্যয়ের ব্যাপারে দেশটির ভূমিকার কথা।
ধূসর তালিকায় থাকা দেশগুলোর ভূমিকা
এফএটিএফ এই দেশগুলিকে 'আরও সুযোগ দেয়'। সেই সুযোগের অংশ হিসেবে কিছু শর্ত দেয়। ওই সব দেশগুলোকে এফএটিএফের দেওয়া শর্ত মেনে চলতে হয়। সেটা করতে না-পারলে, এফএটিএফ ওই সব দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করে। তালিকাভুক্ত দেশগুলোর কাজকর্ম পর্যায়ক্রমে পর্যালোচনা করে এফএটিএফ।
আরও পড়ুন- ক্রমেই চওড়া ডেঙ্গির থাবা, উৎসবের মরশুমে মৃত্যু যুবকের
পাকিস্তানের ভূমিকায় এফএটিএফ সন্তুষ্ট
পাকিস্তান ২০১৮ সাল থেকে এফএটিএফের ধূসর তালিকায় ছিল। ফ্রান্সের প্যারিসে এফএটিএফের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন শেষে সাংবাদিক বৈঠক হয়। সেখানেই পাকিস্তানকে ধূসর তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথা জানান এফএটিএফের সভাপতি রাজা কুমার। তিনি জানান, আগস্টের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক সংস্থার টাস্কফোর্স পাকিস্তানে গিয়েছিল। সেখানে পাক শাসকদের থেকে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন। পাকিস্তানে স্থায়ী সংস্কারের কথা জানতে পেরেছেন। পাকিস্তান এফএটিএফের দুটি শর্ত পূরণ করেছে। তাই ওই দেশকে ধূসর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে এফএটিএফ।
Read full story in English