মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ফিজার এবং জার্মান বায়োটেকনোলজি সংস্থা বায়োএনটেক কোভিড-১৯ ভাইরাস রুখতে ইতিমধ্যেই লঞ্চ করেছে প্রজেক্ট লাইটস্পিড। যার মধ্যে চারটি ভ্যাকসিনের কাজ চলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রায়াল চলা সেই সকল ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা কতখানি সে তথ্য প্রকাশ করল সংস্থারা। সেই রিপোর্ট এই আশা দেখছে বিশ্ব। চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যেই ভ্যাকসিন জনসাধারণের জন্য উপলব্ধ করার প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেয়ে যাবে বলেই আশা করছে তারা।
কীভাবে তৈরি হচ্ছে এই ভ্যাকসিন?
চারটি ভ্যাকসিনই তৈরি হচ্ছে এমআরএন-এ বেসড প্রযুক্তির উপর। জানুয়ারি মাসে যখন থেকে সারস-কোভ ২ ভাইরাসের জিন কাঠামো প্রকাশ্যে আসে তখন থেকেই সেই কাঠামোর উপর ভিত্তি করেই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করে এই সংস্থা। এই চারটি ভ্যাকসিনের মধ্যে দুটি হল- BNT162b1 এবং BNT162b2। এই দুটি ভ্যাকসিন মানব দেহেও সফলভাবে প্রয়োগ হয়ে গিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং জার্মানিতে চলেছে এর ক্লিনিকাল ট্রায়াল।
এই BNT162b2 আসলে কী?
এই ভ্যাকসিনটি হল সিঙ্গল নিউক্লিওসাইড মডিফায়েড মেসেঞ্জার আরএনএ। সংক্ষেপে যাকে মডআরএনএ (modRNA) ভ্যাকসিন ও বলা যায়। মেসেঞ্জার আরএনএ-এর একটি ছোটো সংস্করণ। যা কি না মানব দেহে প্রবেশ করে করোনার প্রোটিনের বিরুদ্ধে বিশেষ প্রোটিন তৈরি করতে উজ্জীবিত করবে দেহকোষকে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও তৈরি করবে। এই ভ্যাকসিনের তিনটি বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে- রিয়্যাক্টোজেনেসিটি (অর্থাৎ কোষের মধ্যে কীভাবে কাজ করছে), ইমিউজেনেসিটি (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আদৌ তৈরি হচ্ছে কি না) এবং সুরক্ষা।
আরও পড়ুন, করোনা থেকে সুস্থ হলেও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফুসফুস, ময়নাতদন্তে উঠে এল নয়া তথ্য
দেখা গিয়েছে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের সাত দিন পর ফের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করা হলে অত্যন্ত সফলভাবে রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে এই ভ্যাকসিন। অল্পবয়সি এবং বেশি বয়সিদের দেহের রক্তরস নিয়ে এই পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।
কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই ফলাফল?
করোনা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে যে বিষয়টিতে বারংবার জোর দেওয়া হচ্ছে তা হল সুরক্ষা। এখনও পর্যন্ত কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি এই ভ্যাকসিনে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন