President Droupadi Murmu can nudge the system: পশ্চিমবঙ্গে কি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে? এই আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ, কলকাতায় আরজি কর হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সি এক চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং হত্যার পর তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সংবিধানের রক্ষক হিসেবে, গোটা ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি দেশের তরুণদের কাছে, 'নারীকে সম্মান দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।' ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে কঠোর ভাষায় বলেছেন, 'যথেষ্ট হয়েছে।'
দিল্লিতে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি
দেশের একনম্বর নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রপ্রধান চান আরজি কর-কাণ্ডের তদন্ত যেন সুষ্ঠুভাবে হয়। বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, রাজ্য সরকার দোষীদের রক্ষা করছে। তেমন কিছু যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করুক রাজ্য সরকার। এমনটাই চাইছেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। যার ফলে জল্পনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি মুখ খোলায় তৃণমূল কংগ্রেস আবার রাজনৈতিক মেরুকরণের অভিযোগ করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, মণিপুরের ঘটনার পর রাষ্ট্রপতি মুখ খোলেননি। কিন্তু, আরজি কর ইস্যু পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা জন্যই তিনি মুখ খুলেছেন।
আরও পড়ুন- রহস্যময় টাইটানিক! আটলান্টিকের বুক চিরে কীভাবে উদ্ধার হল বিলাসবহুল এই জাহাজ?
বিজেপি অনেক দিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানাচ্ছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রায়শই পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি তোলেন। আগে এই দাবিগুলো নিয়ে তেমন রাজনৈতিক টানাপোড়েন না হলেও বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজনৈতিক মহলের 'দিদি' বেশ ব্যাকফুটে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। নিয়ম অনুযায়ী, সাংবিধানিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়লেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা যায়। না-হলে, সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা যায় না। কারণ, তাতে আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা তৈরি হতে পারে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তির ঝুঁকি নেওয়া রাজনৈতিকভাবে বিপজ্জনক। কারণ, সীমান্তে অস্থির বাংলাদেশ। বঙ্গের এই অশান্তি ভারতের পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও প্রভাব ফেলতে পারে। এই আশঙ্কাও রয়েছে। যার ফলে, ধীরে চলো নীতি নিয়েছে কেন্দ্র।