Advertisment

Titanic wreckage: রহস্যময় টাইটানিক! আটলান্টিকের বুক চিরে কীভাবে উদ্ধার হল বিলাসবহুল এই জাহাজ?

Ocean wreckage: টাইটানিক জাহাজ নিয়ে সিনেমা বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল। যা বুঝিয়ে দিয়েছে, ডুবে যাওয়ার পরও ওই জাহাজের প্রতি জনগণের আকর্ষণ ঠিক কতটা।

author-image
IE Bangla Web Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Titanic, Atlantic Ocean, টাইটানিক, আটলান্টিক মহাসাগর,

Titanic-Atlantic Ocean: টাইটানিক সিনেমা বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল। (ছবি- ফেসবুক)

Titanic wreckage was discovered 73 years after its sinking: ডুবে যাওয়ার ৭৩ বছর পরে আবিষ্কার হয়েছিল টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। প্রথম সমুদ্রযাত্রায়, টাইটানিক একটি হিমশৈলের চূড়ায় ধাক্কা মারে। এরপরই ১৯১২ সালে ওই বিলাসবহুল জাহাজ আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায়। কিন্তু, সেই ডুবে যাওয়া টাইটানিকের প্রতি জনসাধারণের আগ্রহ একচুলও কমেনি। বহু চেষ্টা হয়েছে, সেই ধ্বংসাবশেষের কাছে পৌঁছনোর। শেষ অবধি ১৯৮৫ সালে সমুদ্রবিজ্ঞানী রবার্ট ব্যালার্ড টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে পৌঁছতে সক্ষম হন। 

Advertisment

কবে এল সাফল্য?

ইংল্যান্ড থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছিল আরএমএস টাইটানিক। সেটাই ছিল এই জাহাজের প্রথম সমুদ্রযাত্রা। সময়টা ১৯১২ সাল। এই জাহাজের প্রতি জনগণের আগ্রহ এতটাই যে জাহাজের ডুবে যাওয়া নিয়ে হলিউড সিনেমা বানিয়েছে। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় সেই সিনেমা। যা বক্স অফিসে ঝড় তোলে। ১৯১২ সাল থেকেই টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের জন্য চেষ্টা শুরু হয়েছিল। কিন্তু, তা উদ্ধার করা যায়নি। অবশেষে আমেরিকান সমুদ্রবিজ্ঞানী রবার্ট ব্যালার্ড ডুবে যাওয়া জাহাজটি খুঁজে পান। শেষ পর্যন্ত ১৯৮৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর, রবার্ট ব্যালার্ড তাঁর লক্ষে সফল হন।  

আরও পড়ুন- দুর্নীতি! অভিযুক্ত কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের পরিবার

কতজন মারা গিয়েছিলেন
১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল, একটি হিমশৈলের সঙ্গে সংঘর্ষের পর টাইটানিক ডুবে যায়। ওই জাহাজের ৭০৬ জন লাইফবোটে উঠে বেঁচে গিয়েছিলেন। মারা গিয়েছিলেন ১,৫১৭ জন। ডুবে যাওয়ার পরে ওই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করার জন্য ধনী যাত্রীদের আত্মীয়রা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তাঁরা জাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের দাবি জানিয়েছিলেন। জাহাজের ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিক মহাসাগরের প্রায় ১২,৫০০ ফুট বা প্রায় ৩,৮১০ মিটার গভীরে গিয়ে পড়েছিল। মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৮,৮৪৯ মিটার। তার প্রায় অর্ধেক দূরত্ব বা গভীরতায় গিয়ে পড়েছিল টাইটানিক জাহাজটি।

টাইটানিক বেলফাস্ট মনুমেন্টের ওয়েবসাইট অনুসারে এই গভীরতা জাহাজটির উদ্ধারে উচ্চ বায়ুচাপের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে, 'বিভিন্ন সাহসী এবং অবাস্তব পরিকল্পনার প্রস্তাব করা হয়েছিল। যার মধ্যে অন্যতম ছিল, জাহাজটিকে সমুদ্রপৃষ্ঠে ভাসানোর জন্য বেলুন এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটের ব্যবহার। কিন্তু, এই সব ব্যবহারে প্রযুক্তিগত অসুবিধা, তহবিলের অভাব এবং ধ্বংসস্তূপের সঠিক জায়গা চিহ্নিত করার ব্যাপারে অসুবিধার কারণে তা বাতিল করতে হয়েছিল।'

ব্যালার্ড কি আটলান্টিকে টাইটানিক খুঁজে পেয়েছিলেন?
একটি প্রেস কনফারেন্সে, ব্যালার্ড বিশ্বকে বলেন, 'টাইটানিক এখন ১৩,০০০ ফুট জলের মধ্যে সামান্য ঢালু আল্পাইন গ্রামাঞ্চলের নীচে একটি ছোট উত্তরমুখী গিরিখাতের নীচের দিকে সোজা হয়ে রয়েছে। এই বিশাল গভীরতায় কোনও আলো নেই। জীবনের অস্তিত্ব সামান্যই। সমুদ্রতলে এটি একটি নিরিবিলি এবং শান্তিপূর্ণ জায়গা। সমুদ্রের সর্বশ্রেষ্ঠ ট্র্যাজেডির অবশিষ্টাংশের বিশ্রামের জন্য উপযুক্ত জায়গা। যা চিরকাল সেভাবেই থাকতে পারে। ঈশ্বর প্রয়াতদের আত্মাদের আশীর্বাদ করুক।'

titanic ship Atlantic Ocean
Advertisment