দুই দশক আগে ১৯৯৯ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় সাত জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। তার মধ্যে শুধুমাত্র নলিনী শ্রীহরণ ১৯৯১ সালের ২১ মে রাজীব গান্ধী ওপর বোমা হামলার সাক্ষী ছিলেন। সেই হত্যাকাণ্ডের তিন দশক পরে দোষী সাব্যস্ত সাত জনই মুক্তি পেয়েছে। এর মধ্যে মে মাসে এজি পেরারিভালানকে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বাকি সাজাপ্রাপ্ত নলিনী, টি সুথেন্দ্ররাজা ওরফে সান্থান, ভি শ্রীহরণ ওরফে মুরুগান, রবার্ট পায়াস, জয়কুমার এবং রবিচন্দ্রন ওরফে রবিকে মুক্তি দিয়েছে।
টাডা আদালতের নির্দেশ- ১৯৯৮ সালে, এক টাডা আদালত ৪১ অভিযুক্তের মধ্যে ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। যার মধ্যে ১২ জন বিস্ফোরণে বা তদন্তের সময়ই মারা গিয়েছিল। ১৯৯৯ সালের মে মাসে, সুপ্রিম কোর্ট তার মধ্যে ১৯ জনকে মুক্তি দেয়। মুরুগান, সানথান, পেরারিভালান এবং নলিনীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। আর, পায়াস, রবিচন্দ্রন এবং জয়কুমারের মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবনে পরিবর্তনের নির্দেশ দেয়।
কমানো হয়েছিল সাজা- তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (এলটিটিই) এর আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী রাজীব গান্ধীকে হত্যা করেছিল। এর কয়েক সপ্তাহ এবং মাস পরেই অভিযুক্ত সাত জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। রাজ্য সরকারের সুপারিশ এবং সোনিয়া গান্ধীর আপিলের ভিত্তিতে, তামিলনাড়ুর গভর্নর ২,০০০ সালে মৃত্যুদণ্ডের সাজা থেকে নলিনীকে রেহাই দেন। তার অন্য তিনটি সাজার মেয়াদও ২০১৪ সালে কমিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- ইমরানের গুলিবিদ্ধ হওয়া পাকিস্তানে বড় অশান্তির ইঙ্গিত, সম্ভাব্য পরিস্থিতি কী বলছে?
দীর্ঘ আইনি লড়াই- দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর রাজ্য সরকার, রাজ্যপাল, কেন্দ্র সরকার এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি সুপারিশে পেরারিভালান মুক্তি পায়। এটাই হল শুক্রবার মুক্তিপ্রাপ্ত রাজীব হত্যার ছয় আসামির কাহিনি। যাদের সাজা আর আইনি লড়াইয়ের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে সিবিআইয়ের ডায়েরি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, পেরারিভালানের সাক্ষাৎকারের মত বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি।
নলিনী কীভাবে যুক্ত- এই মামলায় অন্যতম আসামি নলিনীর বয়স এখন ৫৭। হত্যার প্রায় একমাস পর নলিনী ও তার স্বামী মুরুগানকে গ্রেফতার করা হয়। TADA হেফাজতে নেওয়া তার স্বীকারোক্তিমূলক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে নলিনী শ্রীলঙ্কার দুই মহিলা সুভা ও ধানুর আশ্রয়দাতা ছিল। এই সুভা এবং ধানুই রাজীব গান্ধীর ওপর বোমা হামলা চালিয়েছিল। হত্যার দিন তাদের পরার মত জামাকাপড় কিনতে নিয়ে যাওয়া, তাদের পরিকল্পনা আগে থেকে জানা এবং রাজীবের নির্বাচনী সমাবেশে তাদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে নলিনীর বিরুদ্ধে। চার্জশিটে বলা হয়েছে, ধানু নিজেকে উড়িয়ে দেওয়ার পর নলিনী, সুভা এবং এলটিটিইর মূলচক্রী সিভারসন পালিয়ে যায়।
Read full story in English