রাজ্যগুলো যেন ভুলেও পুরোনো পেনশন প্রকল্পে না-ফেরে। কার্যত এই ভাষাতেই রাজ্যগুলোকে সতর্ক করেছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। ২০০৪ সাল পর্যন্ত পুরোনো পেনশন প্রকল্প বা (ওপিএস) চালু ছিল। রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে, পুরোনো পেনশন প্রকল্পে ফিরলে আগামী দিনগুলোয় রাজ্যের ওপর বিরাট আর্থিক বোঝা চাপবে। রিজার্ভ ব্যাংকের দাবি, পুরোনো পেনশন প্রকল্পের বদলে ন্যাশনাল পেনশন প্রকল্প (এনপিএস) দায়বদ্ধতার সঞ্চার ঘটাবে। তাই বলে, ন্যাশনাল পেনশন প্রকল্পও ত্রুটিহীন নয়। ভবিষ্যতে তা বড় ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
রিজার্ভ ব্যাংকের মত
আরবিআইয়ের মতে, পুরোনো পেনশন প্রকল্পে প্রত্যাবর্তন রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ। সোমবার আরবিআই তার রাষ্ট্রীয় অর্থ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলেছে যে, এই প্রকল্পে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় বার্ষিক সঞ্চয় তেমন একটা বেশি হয় না। কিন্তু, রাজ্যগুলোকে খরচ বাঁচিয়ে পেনশন জমা করার দায় নিতে হয়।
ব্যয় বাড়ছে
রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে, ২০২২-২৩ সালের বাজেট অনুযায়ী রাজ্যগুলোর পেনশন খাতে ব্যয় ১৬ শতাংশ বেড়ে হবে ৪৬৩,৪৩৬ কোটি টাকা। গতবছর এই খরচ ছিল ৩৯৯,৮১৩ কোটি টাকা। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ অর্থবর্ষে শেষ হওয়া ১২ বছরের পেনশন দায়গুলোর বার্ষিক চক্রবৃদ্ধির হার রাজ্যগুলোর ক্ষেত্রে ছিল ৩৪ শতাংশ।
রাজ্যগুলো ওপিএস চাইছে
ন্যাশনাল পেনশন স্কিম বা এনপিএসের বদলে রাজ্যগুলো ওল্ড পেনশন স্কিম বা ওপিএস চাইছে। যার জেরে রিজার্ভ ব্যাংক এই সব সতর্কবাণী শুনিয়েছে। যে রাজ্যগুলো ওপিএস চাইছে, সবগুলোই বিরোধীশাসিত রাজ্য। তালিকায় রয়েছে ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, পঞ্জাব, হিমাচলপ্রদেশ। এই সব রাজ্যগুলো চাকরিরত কর্মচারীদের থেকে সংগৃহীত অর্থ থেকে বয়স্ক পেনশনভোগীদের অর্থ দেওয়া সুবিধাজনক বলে মনে করছে।
আরও পড়ুন- মেয়ে হওয়াই অপরাধ! দেবীর মন্দিরে ঢুকতেই দেওয়া হল না দক্ষিণী নায়িকাকে
রাজ্যগুলোর সমস্যা
ওপিএস অনুযায়ী, অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা তাঁদের শেষ টানা বেতনের ৫০ শতাংশ মাসিক পেনশন হিসেবে পান। কিন্তু, সমস্যা দেখা দিয়েছে যে রাজ্যসরকারগুলোর কাছে ওপিএস চালানোর মত যথেষ্ট অর্থ নেই। কারণ, ওপিএস চালানোর জন্য কোনও সঞ্চিত তহবিল বা সঞ্চয়ের ব্যবস্থা নেই। যার ফলে, পেনশন দেওয়াটা সরকারের কাছে স্পষ্টতই আর্থিক বোঝা হিসেবে ঠেকছে।
Read full story in English