Mount Everest: বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট। বর্তমান উচ্চতা ৮,৮৪৯ মিটার। বিভিন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছে, গত ৮৯,০০০ বছরে, প্রত্যাশার চেয়ে প্রায় ১৫ থেকে ৫০ মিটার বেশি বেড়েছে এই পর্বতশৃঙ্গ। কারণ জানতে অনেক গবেষণা হচ্ছিল। সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গিয়েছে, এভারেস্টের উচ্চতাবৃদ্ধির পিছনে রয়েছে কাছের একটি নদী। যা মাউন্ট এভারেস্টের গোড়ায় শিলা এবং মাটি ক্ষয় করছে। আর বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গকে ওপরের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
গবেষণায় জানা গিয়েছে
সোমবার নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্রটি। যার নাম, ‘রিসেন্ট আপলিফট অফ চোমোলুংমার এনহ্যান্সড বাই রিভার ড্রেনেজ পাইরেসি।' ওই গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, প্রায় ৫০ মিলিয়ন বছর ধরে ভারতীয় এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষের কারণে এভারেস্ট এবং বাকি হিমালয় ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অরুণ নদীর গতিপথ পরিবর্তন এই পর্বতমালার ক্রমাগত বৃদ্ধির অন্যতম সহায়ক কারণ।
মাউন্ট এভারেস্টের বর্তমান উচ্চতা ৮,৮৪৯ মিটার। | গত ৮৯,০০০ বছরে, প্রত্যাশার চেয়ে প্রায় ১৫ থেকে ৫০ মিটার বেশি বেড়েছে এই পর্বতশৃঙ্গ। |
প্রায় ৫০ মিলিয়ন বছর ধরে ভারতীয় এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষের কারণে এভারেস্ট এবং বাকি হিমালয় ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। | প্রায় ৮৯,০০০ বছর আগে অরুণ নদী কোসি নদীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার পর ওই অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের ওজন কমতে শুরু করে। |
'আইসোস্ট্যাটিক রিবাউন্ড' নামে এক ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ার জন্যই এভারেস্ট উচ্চতায় বাড়ছে। এই ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ায় ভূপৃষ্ঠের ওজন হ্রাস পেলে মাটির নীচে থাকা গরম, আধা-তরল শিলার একটি স্তর ওপর দিকে উঠে আসে। গবেষণারপত্রটির অন্যতম লেখক, বেইজিং-এর চায়না ইউনিভার্সিটি অফ জিওসায়েন্সেস-এর ভূ-বিজ্ঞানী জিন-জেন দাই রয়টার্সকে বলেছেন, 'ভার বা ওজন সরানোর ব্যাপারে আইসোস্ট্যাটিক রিবাউন্ডকে একটি ভাসমান বস্তুর সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। যখন বরফ বা ক্ষয়প্রাপ্ত পাথরের মতো ভারী বস্তুর ভার পৃথিবীর ভূত্বক থেকে সরানো হয়, তখন নীচের ভূমি প্রতিক্রিয়া হিসেবে ধীরে ধীরে ওপরে উঠে আসে, অনেকটা মাল আনলোড করার সময় জলের ওপরে উঠে আসা নৌকোর মত।'
আরও পড়ুন- 'দাদাসাহেব' মিঠুন! বলিউডের ডিস্কো জ্বরে কেঁপেছিল সোভিয়েত
গবেষকরা জানিয়েছেন, এভারেস্ট এবং এর পার্শ্ববর্তী পর্বতমালার ক্ষেত্রে, প্রায় ৮৯,০০০ বছর আগে অরুণ নদী কোসি নদীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার পর ওই অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের ওজন কমতে শুরু করে। এর ফলে ভূমিক্ষয় ত্বরান্বিত হয়। এই ভূমিক্ষয়ের ফলে বিপুল পরিমাণে শিলা এবং মাটি জলের স্রোতে ভেসে যায়। তার ফলে, এভারেস্টের কাছাকাছি অঞ্চলের ওজন হ্রাস পায়। আর, এর ফলেই বাড়তে শুরু করে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা।