RSS Akhil Bharatiya Samanvay Baithak: এই বছরই প্রথমবার কেরলে আয়োজিত হল আরএসএসের সমন্বয় বৈঠক। গত বছর এই বৈঠক হয়েছিল মহারাষ্ট্রের পুনেতে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রচার প্রমুখ (ইনচার্জ) সুনীল আম্বেকর জাতিশুমারির জন্য সংঘের সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, 'কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা চিরকালীন রীতি। বিশেষ করে পিছিয়ে থাকা সম্প্রদায় বা জাতির জন্য এই তথ্য সংগ্রহ জরুরি।' সঙ্গে, জাতিশুমারিকে 'নির্বাচনের রাজনৈতিক হাতিয়ার' হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধেও তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন। আম্বেকর কেরলের পালাক্কাদে সংঘের সমন্বয় বৈঠকে বক্তৃতা করছিলেন। তিন দিনের এই বৈঠকে মঙ্গলবার ছিল শেষ দিন। শেষ দিনের বক্তৃতার সময়ই আম্বেকর জাতিশুমারি প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। যে সমন্বয় বৈঠকে আম্বেকর জাতিশুমারি প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন, সেই বৈঠক হল আরএসএস-এর চারটি বার্ষিক সভার অন্যতম।
সংঘ পরিবারের সমন্বয় বৈঠক
সমন্বয় বৈঠক সাধারণত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। এই সভার উদ্দেশ্য হল সংঘ এবং এর সামনের সারির সংগঠনগুলোর মধ্যে সমন্বয়। যাতে সংগঠনগুলোর মধ্যে টানাপোড়েন এড়ানো সম্ভব হয়। এই সভার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর একটি হল খোলা অধিবেশন। সেখানে প্রতিনিধিরা বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য পেশ করেন। পালাক্কাদের বৈঠকে রাষ্ট্র সেবিকা সমিতি, বনবাসী কল্যাণ আশ্রম, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, বিজেপি, ভারতীয় কিষাণ সংঘ, বিদ্যা ভারতী, ভারতীয় মজদুর সংঘের মত ৩২টি সংগঠনের ২৩০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সংস্কার ভারতী, সেবা ভারতী, সংস্কৃত ভারতী, অখিল ভারতীয় সাহিত্য পরিষদ, সংঘের কেন্দ্রীয় কার্যকারী মণ্ডল (কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি)-এর সদস্যরাও অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন- বিজেপিশাসিত হরিয়ানায় ভয়ংকর বেকারত্ব! সাফাইকর্মী পদে ৪৬ হাজার স্নাতক, স্নাতকোত্তর প্রার্থীর আবেদন
RSS Akhil Bharatiya Prachar Pramukh Sunil Ambekar addresses Press Conference on concluding day of 3-day Akhil Bharatiya Samanvay Baitak at Palakkad, Kerala. pic.twitter.com/SAPz1ko827
— Rajesh Padmar (@rajeshpadmar) September 2, 2024
সমন্বয় বৈঠকের জের
বিজেপির পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ ও তাঁর সহকারি শিবপ্রকাশ। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে সংঘের এই বৈঠক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। এই আগ্রহ কিন্তু এমনি জন্ম নেয়নি। এর নানা কারণ আছে। যেমন, ২০১৮ সালে অন্ধ্র-কর্নাটক সীমান্তের মন্ত্রালয়ম গ্রামে বৈঠক হয়েছিল। সংঘের সেই বৈঠকে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মত সংঘ পরিবারের প্রধান প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বৈঠকে ছিলেন বিজেপির নেতা অমিত শাহও। পরের বছরের নির্বাচনে ক্ষমতায় ফিরে আসার পরে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রথম বড় পদক্ষেপের একটি ছিল ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার। এই ধারা জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিয়েছিল। এই বৈঠক প্রথমবারের মত কেরলে হল। গত বছর বৈঠক হয়েছিল মহারাষ্ট্রের পুনেতে।