Advertisment

Explained: দশক-পুরোনো মামলা, জাল্লিকাট্টুর পক্ষেই সায় আদালতের, কিন্তু কেন?

পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ নতুন নির্দেশ দিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
jallikattu protest

তামিলনাড়ুতে জাল্লিকাট্টু বন্ধের প্রতিবাদ।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটক আইনসভার দ্য প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস (পিসিএ) অ্যাক্ট, ১৯৬০-এ করা সংশোধনী বহাল রেখেছে। এই আইন জাল্লিকাট্টু, কাম্বালার মত ষাঁড়ের খেলা এবং বলদের গাড়ির দৌড়ের পক্ষে সম্মতি দিয়েছে। বিচারপতি কেএম জোসেফের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায় দিয়েছে যে, ২০১৭ সালে করা সংশোধনীগুলো 'বৈধ' ছিল। আদালত জানিয়েছে, জাল্লিকাট্টু ইস্যুটি 'বিতর্কিত'। এই ধরনের বিষয় শেষ অবধি হাউস অফ দ্য পিপল (আইনসভা) দ্বারা সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও বিশদে সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বিশ্লেষণের প্রয়োজন। আর, এই জাতীয় আইন বিচার বিভাগ তৈরি করতে পারে না।

Advertisment

আদালত জাল্লিকাট্টু
পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ২০১৪ সালের 'ওয়েলফেয়ার বোর্ড অফ ইন্ডিয়া বনাম এ. নাগরাজা' মামলায় আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ বাতিল করেছে। ওই নির্দেশে দুই বিচারপতি বেঞ্চ জাল্লিকাট্টু-সহ এই জাতীয় সমস্ত খেলা নিষিদ্ধ করেছিল। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর, বিচারপতি অজয় রাস্তোগি, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস, বিচারপতি হৃষীকেশ রায় ও বিচারপতি সিটি রবিকুমারকে নিয়ে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চ তামিলনাড়ুর পক্ষের আইনজীবী মুকুল রোহাতগি ও আবেদনকারীদের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা-সহ প্রবীণ আইনজীবীদের বক্তব্য শুনেছিল।

আরও পড়ুন- নতুন আইনমন্ত্রীর ব্যাকগ্রাউন্ড জানলে রীতিমতো চমকে যেতে হয়, কে এই অর্জুন মেঘওয়াল?

জাল্লিকাট্টু কী?
জাল্লিকাট্টু ইরুথাঝুভুথাল নামেও পরিচিত। এটি একটি ষাঁড়ের খেলা, যা ঐতিহ্যগতভাবে তামিলনাড়ুতে পোঙ্গল বা ফসল কাটা উৎসবের অংশ। এই উত্সব প্রকৃতির প্রতি সম্মানজ্ঞাপন। প্রচুর ফসল উৎপাদন হবে, এই লক্ষ্যে তামিলনাড়ুতে গবাদি পশুর পুজো করা হয়। জাল্লিকাট্টু সেই পুজোর অংশ। যাইহোক, দীর্ঘদিন ধরেই জাল্লিকাট্টুর আয়োজন করা হয়। কিন্তু, পশুপ্রেমী সংগঠন পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা এবং খেলাটির জেরে রক্তপাত এবং এর বিপজ্জনক দিকগুলো তুলে ধরে আদালতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। পশুপ্রেমী সংগঠনগুলো আদালতকে জানিয়েছিল যে এই খেলায় কখনও ষাঁড়, কখনও বা মানুষের মৃত্যু হয়। তাঁরা আঘাত পান। তাই, এই ধরনের ভয়ংকর খেলা বন্ধ করা দরকার।

Jallikattu Tamilnadu Supreme Court of India
Advertisment