Sonam Wangchuk: লাদাখের পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুক, শতাধিক বিক্ষোভকারীকে নিয়ে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে দিল্লির উত্তর সীমান্তে আটক হয়েছেন। এক্স-এ একটি পোস্টে, ওয়াংচুক লিখেছেন, 'আমরা বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করে বাপুর সমাধিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম। গণতন্ত্রের মা... হায় রাম!'
দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি (এএপি) বলেছে যে দিল্লি পুলিশ মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী অতীশিকে দেখা করতে বাধা দিয়েছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, 'সোনম ওয়াংচুকজি ও শত শত লাদাখির শান্তিপূর্ণভাবে পরিবেশগত এবং সাংবিধানিক অধিকারের জন্য মিছিলকে আটকানো ঠিক হয়নি।'
তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা এক ভিডিওতে, ওয়াংচুক বলেছেন, 'দিল্লির পুলিশ কমিশনার এক বিজ্ঞপ্তিতে ১৪৪-এর মত ধারা জারি করেছে। এই ধারা অনুযায়ী, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবরের মধ্যে পাঁচ জনের বেশি লোক প্রকাশ্যে জড় হতে পারবে না। মনে হচ্ছে. যেন তারা মিছিলটি করতে দিতে চাইছে না। কিন্তু, এই মিছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ছিল।' কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে লাদাখের প্রশাসনে বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের দাবি নিয়ে আলোচনা করতে সেপ্টেম্বরে লাদাখ থেকে দিল্লির পথে রওনা হয়েছিলেন সোনম ওয়াংচুকের নেতৃত্বে বিক্ষোভকারীরা।
সোনম ওয়াংচুক কে?
ওয়াংচুক একজন ইঞ্জিনিয়ার তথা পণ্য গবেষক। ২০১৮ সালে তিনি রামন ম্যাগসেসে পুরস্কারে ভূষিত হন। 'প্রত্যন্ত লাদাখে শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতি ঘটানো, লাদাখি যুবকদের জীবনযাত্রার মানের অগ্রগতি ঘটানো, বিশ্বের সংখ্যালঘু মানুষের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা'র মত নানা ক্ষেত্রে ওয়াংচুক কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন।
আরও পড়ুন- এতদিনে জানা গেল কারণটা! কেন বাড়ছে মাউন্ট এভারেস্ট?
সম্প্রতি, ওয়াংচুক লাদাখের প্রশাসনে স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানিয়েছেন। তিনি ভারতীয় সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের অধীনে লাদাখকে তফসিলি এলাকার মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে ২০১৯ সালের দিকে তৎকালীন কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডাকে চিঠি দিয়েছিলেন। মুন্ডা প্রতিক্রিয়ায় জানান যে, তাঁর মন্ত্রক চিঠিটি পেয়েছে। সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব হিসেবে পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু, লাদাখের নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রের এই বিষয়ে পরবর্তী আলোচনা হয়নি। ওয়াংচুক ২০২৩ সালে এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন। এবার সেই দাবি নিয়েই তিনি দলবল-সহ দিল্লিতে এসেছিলেন।