মুম্বই-দুর্গাপুরগামী স্পাইসজেটের অন্তত ৪০ যাত্রী রবিবার দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তার মধ্যে ১২ জনের অবস্থা গুরুতর। স্পাইসজেটের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটি অবতরণের সময় সমস্যায় পড়ে। ভারতের বিমান নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রক সংস্থা- ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
কী ঘটেছিল এবং কখন?
বিমানটি মুম্বই থেকে বিকেল ৫টার একটু পরে ছেড়েছিল। ঘণ্টা দুয়েক পরে দুর্গাপুরের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল। কিন্তু, নামার সময় বিমানে গোলযোগের জন্য ৪০ যাত্রী আহত হন। অবশ্য শেষ পর্যন্ত রাত ৭টা ১৫ নাগদ ১৮৯ আসনের বিমানটি নিরাপদে দুর্গাপুরে নামতে সক্ষম হয়। আহত যাত্রীদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়। শুধু যাত্রীরাই না। এই দুর্ঘটনায় বিমানের বেশ কয়েকজন কর্মীও আহত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিত্সার পর জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ আঘাতই লেগেছে মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডে।
বিমান গোলযোগের মুখে পড়লে কী হয়?
বিমানে ন্যূনতম সাত ধরনের গোলযোগ ঘটে থাকে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘটে আবহাওয়া-জনিত কারণে। কোনও মেঘ অথবা বজ্রপাতের মধ্যে দিয়ে গেলে বিমানে গোলযোগ দেখা দেয়। দ্বিতীয়টি ঘটে, ধোঁয়ার জন্য আর জোরে হাওয়া বইলে। এসব ক্ষেত্রে বিমানের ডানা ঠিকমতো কাজ করে না।
আরও পড়ুন- রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপের সুরে সুর মেলাক ভারত, চান জার্মান চ্যান্সেলর
গোলযোগ কি ভয়ানক?
এটা নির্ভর করে গোলযোগ কতটা গভীর, তার ওপর। বিমান হামেশাই এমন ধরনের বিঘ্নর মধ্যে পড়ে। এমন সমস্যা মোকাবিলার জন্য পাইলটদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। তবে, এরকম হাজারো উদাহরণ দেখা যায়, যেখানে এই ধরনের গোলযোগের জন্য অত্যাধুনিক বিমানও দ্রুত অবতরণ ঘটাতে বাধ্য হন পাইলটরা। অনেক সময় দেখা যায়, এমন ধরনের বিঘ্ন থেকে বিমান দুর্ঘটনাও ঘটছে। এর কারণ হিসেবে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, আবহাওয়া সংক্রান্ত উপযুক্ত তথ্য না-থাকাকেই দায়ী করেন বিমানচালকরা।
স্পাইসজেটের তদন্তে কোন বিষয়ে মূল নজর রয়েছে?
সাধারণত, যে যে কারণে গোলযোগ তৈরি হয়, সেই সব দিকেই নজর দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। কী কারণে যাত্রীদের আঘাত লাগল, তা-ও তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। নজর রাখছেন গোলযোগের সময় আবহাওয়ার পরিস্থিতির ওপরও।
Read story in English