Mpox concern: এমপক্সের বিস্তার গোটা বিশ্বের কাছে একটি উদ্বেগের বিষয়। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো (ডিআরসি) থেকে এমপক্স বাকি বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। কঙ্গোর অভিযোগ, তারা সময়মতো এমপক্সের টিকা পায়নি। না-হলে প্রতিরোধ করতে পারত। সে যাই হোক, ২০২২-এর ১ জানুয়ারি থেকে আফ্রিকাজুড়ে ২০টি হু (WHO) সদস্য রাষ্ট্র-সহ ১২১টি দেশ থেকে এমপক্স (mpox) সংক্রমণের অভিযোগ মিলেছে। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, বিশ্বে এমপক্সের ১,০৩,০৪৮টি অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। মারা গিয়েছেন ২২৯ জন।
গত মাসে ঘোষণা
সোমবার ভারত তার প্রথম এমপক্স (mpox) সংক্রমণের অভিযোগ নিশ্চিত করেছে। তবে, যিনি সংক্রমিত হয়েছেন, তাঁর মধ্যে এই রোগটা এসেছে বাইরে থেকে। এমনটাই দাবি প্রশাসনের। এতকিছুর পরও অভিযোগ, আফ্রিকায় এমপক্সের ভ্যাকসিনের সরবরাহ কম। ডিআরসি কঙ্গো ছাড়াও, একমাত্র আফ্রিকান দেশ যেখানে বর্তমানে এমপক্সের ভ্যাকসিন আছে, সেটা হল নাইজেরিয়া। এমপক্স দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার জন্য ডব্লিউএইচও গত মাসে এই সংক্রমণকে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জরুরি সমস্যা বলে ঘোষণা করেছে।
কেন এমপক্সের বিস্তার উদ্বেগের বিষয়?
এমপক্স (Mpox) ১৯৭০ সালে মানুষের মধ্যে প্রভাব ফেলে। এমনটাই রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছিল। বর্তমানে তার ক্লেড আইবি (IIb) রূপের বিস্তার স্বাস্থ্যের দুনিয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আফ্রিকার বাইরে খোঁজ মেলা এই মারাত্মক সংস্করণ সুইডেনে সম্প্রতি শনাক্ত হয়েছে। তারপরই এমপক্স ভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে বলে অভিযোগ। এই বিস্তার ঘটে মূলত যৌন যোগাযোগের মাধ্যমে। বিশেষত, পুরুষের সঙ্গে পুরুষের যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে। আচরণগত পরিবর্তন এবং টিকা এই ভাইরাসের বিস্তারকে রোধ করতে পারে।
আরও পড়ুন- করোনার পর, বিশ্বকে দেওয়া চিনের নতুন আতঙ্ক ওয়েটল্যান্ড ভাইরাস
এপিডেমিওলজিস্টরা মনে করেন যে ক্লেড আইবি শুধু সমকামী নয়, বিষমকামী যৌনতার মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে। তবে, সেক্ষেত্রে এমপক্সের অন্য ভাইরাস প্রভাব ফেলে। তা হল, ক্লেড আইএ ভাইরাস। যা যৌন যোগাযোগ ছাড়াও পারিবারিক যোগাযোগ এবং আক্রান্ত প্রাণীর সংস্পর্শের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর, এক্ষেত্রে অল্পবয়সি শিশুরা ক্লেড আইএ ভাইরাসের কারণে বেশি আক্রান্ত হয় বলেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।