Lebanon blast: ১৯৯৬ সালের ৫ জানুয়ারি, হামাসের বোমা প্রস্তুতকারক ইয়াহিয়া আয়াশ, যিনি প্রায় ১০০ ইজরায়েলিকে বেশ কয়েকটি আত্মঘাতী বোমা হামলার মাধ্যমে হত্যা করেছিল, তার বাবার কাছ থেকে সেলফোনে একটি ফোনকল পায়। আয়েশ কথা বলার সময় ফোনটির বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গেই তার মৃত্যু হয়। ইজরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থা 'শিন বেট' সেলফোনে আরডিএক্সের একটি ট্রেস অ্যামাউন্ট রেখেছি বলে অভিযোগ ওঠে। আয়াশ সেই সেলফোন ব্যবহার করায় ইজরায়েলি অপারেটররা দূর থেকে ডিভাইসটিতে বিস্ফোরণ ঘটায়।
সুতরাং, মঙ্গলবার যখন শত শত হ্যান্ডহেল্ড পেজার লেবানন এবং সিরিয়ার কিছু অংশজুড়ে বিস্ফোরিত হয়েছে, তখনও প্রধান সন্দেহভাজন ছিল ইজরায়েল। কারণ, তারা এমন একটি দেশ, যারা তাদের প্রতিপক্ষকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য দূরবর্তী এবং লক্ষ্যবস্তুতে অতীতে বহুবার হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবারের হামলায় ২,৭৫০ জন আহত হয়েছেন। ৮ জন নিহত হয়েছেন।
যাঁদের লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, তারা বেশিরভাগই ইরান-সমর্থিত শিয়া জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সদস্য বলে বলা করা হচ্ছে। ঘটনার সময় তারা রাস্তায়, দোকানের কাউন্টারে, বাইকে, গাড়ির ভিতরে, তাদের বাড়িতে, এমনকী নাপিতের দোকানেও ছিল। কিন্তু, কোনও জায়গাতেই তারা রেহাই পায়নি। বিস্ফোরণের মুখে পড়েছে।
ঘটনার পরপরই লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী যা বলেছেন
লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়া বলেছেন, লেবাননে বিস্ফোরণে ২,৭৫০ জন আহত হয়েছেন। ৮ জন নিহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে। আবিয়া একটি প্রেস কনফারেন্সে জানিয়েছেন, বেশিরভাগ আক্রান্তদেরই মুখ, হাত এবং পেটে আঘাতের খবর পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলার হাল বাম জমানা থেকেই খারাপ, কেন্দ্রীয় রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রথমে মনে করা হচ্ছিল, পেজারের ব্যাটারিগুলো গরম হয়ে বিস্ফোরণ ঘটেছে। কিন্তু, পরে তদন্তকারীরা মনে করছেন যে, পেজারগুলো হ্যাক করা হয়েছিল। তার মাধ্যমেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। রাশিয়ায় জন্মগ্রহণকারী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ দিমিত্রি আলপেরোভিচ সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-কে বলেছেন, 'এই বিস্ফোরণ সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যাপক ধারাবাহিক আক্রমণের একটি।'