West Bengal economy: পশ্চিমবঙ্গে বামেরা হামেশাই গর্ব করে বলেন যে ৩৪ বছর ছিল বেশ গর্বের।
কিন্তু, সত্যিই কি ব্যাপারটা তাই? প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের (EAC-PM) একটি কার্যপত্র অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গ কয়েক দশক ধরেই তার আপেক্ষিক অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতায় পতনের দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে EAC-PM সদস্য সঞ্জীব সান্যালের তৈরি, 'ভারতীয় রাজ্যগুলোর আপেক্ষিক অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতা: ১৯৬০-৬১ থেকে ২০২৩-২৪' পত্রে বলা হয়েছে, দেশের পূর্বাঞ্চলের অনুন্নয়ন একটি উদ্বেগের বিষয়। কার্যপত্রে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গকে বাদ দিয়ে সামুদ্রিক রাজ্যগুলো স্পষ্টতই উন্নয়নে অন্যান্য রাজ্যকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
বাংলার তুলনা হচ্ছে এখন বিহারের সঙ্গে
অবশ্য বাংলার একার লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। বিহারের আপেক্ষিক অবস্থানও তথৈবচ। গত দুই দশকে স্থিতিশীল। আর, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে রয়েছে। বিকাশবাবু নীতীশ কুমারের আমলেও। কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বিহারের অগ্রগতি অন্য রাজ্যের স্তরে নিয়ে যেতে গেলেও এখন যা পরিস্থিতি, তাতে ব্যাপক উন্নয়নের দরকার। উলটোদিকে, ওড়িশা ঐতিহ্যগতভাবে পিছিয়ে থাকা রাজ্য হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটিয়েছে বলেই কার্যপত্রে বলা হয়েছে।
কার্যপত্রে বলা হয়েছে, 'পশ্চিমবঙ্গ ১৯৬০-৬১ সালেও জাতীয় জিডিপির তৃতীয় বৃহত্তম অংশ ১০.৫% ছিল। আর, এখন ২০২৩-২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় জিডিপির মাত্র ৫.৬% উৎপাদন হয়। এই সময়কালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের জিডিপি একটি ধারাবাহিক পতনের মুখোমুখি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মাথাপিছু আয় ১৯৬০-৬১ সালে জাতীয় গড় থেকে ১২৭.৫% বেশি ছিল। কিন্তু, এর বৃদ্ধি জাতীয় প্রবণতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলস্বরূপ, এর আপেক্ষিক মাথাপিছু আয় ২০২৩-২৪ সালে ৮৩.৭%-এ নেমে এসেছে। রাজস্থান এবং ওড়িশার মতো ঐতিহ্যগতভাবে পিছিয়ে থাকা রাজ্যগুলোর চেয়েও নীচে নেমে গেছে।'
১৯৬০-৬১ | জাতীয় জিডিপির তৃতীয় বৃহত্তম অংশ ১০.৫% ছিল পশ্চিমবঙ্গের উৎপাদন। |
২০২৩-২৪ | পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় জিডিপির মাত্র ৫.৬% উৎপাদন হয়। |
আরও পড়ুন- দিল্লিতে আগাম নির্বাচন দাবি কেজরিওয়ালের, আদৌ সম্ভব?
কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে ভারতের পশ্চিম এবং দক্ষিণ অঞ্চলগুলো ১৯৬০-৬১ থেকে ২০২৩-২৪ সাল পর্যন্ত দেশের অন্যান্য অংশের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ভালো অগ্রগতি করেছে। সেই হিসেবে দেশের দক্ষিণের রাজ্যগুলো জিডিপির দৌড়ে এগিয়ে। ১৯৯১ সালে অর্থনৈতিক উদারীকরণের পরে দক্ষিণ রাজ্যগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে অন্যদেরকে ছাপিয়ে গেছে। দক্ষিণের পাঁচ রাজ্য- কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কেরল এবং তামিলনাড়ু যৌথভাবে ২০২৩-২৩ সালে ভারতের জিডিপির প্রায় ৩০% জোগান দিয়েছে।