Supreme Court cautions on ‘history sheets’: সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে 'ইতিহাসপত্র' নিয়ে হুঁশিয়ারি দিল। স্থানীয় পুলিশ যে 'ইতিহাসপত্র' তৈরি করে, তাতে জাতিবিদ্বেষ প্রতিফলিত হয় কি না, তা নিশ্চিত করতে বলেছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সূর্যকান্ত ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ মঙ্গলবার (৭ মে), 'অন্যায়, পক্ষপাতমূলক ও নৃশংস মানসিকতা'-এর বিরুদ্ধে প্রশাসনকে সতর্ক করেছে।
আপ বিধায়কের আবেদন
একইসঙ্গে 'ইতিহাসপত্র' তৈরিতে যাতে জাতিবিদ্বেষ প্রতিফলিত না হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে। আপ বিধায়ক আমানতুল্লাহ খানের একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ওই আপ বিধায়কের নাম দিল্লির জামিয়া নগর থানার রেজিস্টারে নথিবদ্ধ করে, তাঁকে 'খারাপ চরিত্র' ঘোষণা করার চক্রান্ত চলছিল। তার বিরুদ্ধেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আমানতুল্লাহ খান।
'ইতিহাসপত্র' কী, কীভাবে 'ইতিহাসপত্র' তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়?
'ইতিহাসপত্র' হল, কোনও ব্যক্তির অপরাধের ইতিহাসনামা। কোনও ব্যক্তির যদি উল্লেখযোগ্য অপরাধমূলক ইতিহাস থাকে, তার তালিকা তৈরিকেই বলে 'ইতিহাসপত্র'। স্থানীয় রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পুলিশ, সেই রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আইন অনুযায়ী এই 'ইতিহাসপত্র' তৈরি করে। যেমন- পঞ্জাব পুলিশের ১৯৩৪ সালের বিধিমালা পঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, দিল্লি এবং চণ্ডীগড়ে প্রযোজ্য। থানার বড়বাবু (এসএইচও), যখন একাধিক মামলায় দোষী প্রমাণিত অথবা ক্রমাগত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে প্রমাণিত কোনও ব্যক্তিকে নোটিশ দেন, তখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই প্রক্রিয়া চালু হয়েছে বলে বোঝা যায়।
পুরোটাই পুলিশের রিপোর্টের ওপর নির্ভর করে
পরবর্তীকালে ওই ব্যক্তি, তাঁদের সহযোগী ও পরিচিত এবং আত্মীয়দের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত একটি প্রতিবেদন সহকারি পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে জেলার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট বা পুলিশ সুপারের কাছে জমা দেওয়া হয়। আবার একজন ব্যক্তি, যে সমাজের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে, তার সম্পর্কে পুলিশের চলমান মূল্যায়নও 'ইতিহাসপত্র' হিসেবে গৃহীত হতে পারে।
আরও পড়ুন- নির্বাচনী প্রচারে বিরাট উসকানিমূলক মন্তব্য বিজেপির নভনীত রানার, থানায় কমিশনই এফআইআর করল
'ইতিহাসপত্র'-এ কী বিষয় থাকতে পারে?
পঞ্জাব পুলিশর বিধি, ১৯৩৪ অনুসারে- 'ইতিহাসপত্র'-এ অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিস্তারিত বিবরণ থাকবে। বিশেষ করে ওই ব্যক্তি কী ধরনের অপরাধ করতে পারে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত বিবরণ থাকার কথা। অভিযুক্তের, 'সম্পর্ক এবং যোগাযোগ' (সহযোগী, আত্মীয় ইত্যাদি)-এর উল্লেখও সেখানে থাকার কথা। অর্থাৎ, সেই সব ব্যক্তিদের ব্যাপারে তথ্য 'ইতিহাসপত্র'-এ থাকার কথা, যাঁরা চাইলে পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আশ্রয় দিতে পারেন।