/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/11/geTcNR5tGM4xwwDfb2PI.jpg)
Tahawwur Rana: তাহাওয়ার রানা।
Tahawwur Rana, 26/11 Mumbai attacks: ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসী হামলার অন্যতম মূল ষড়যন্ত্রকারী তাহাওয়ার হুসেন রানাকে অবশেষে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে হওয়া ভয়াবহ হামলায় ১৬৬ জন নিহত হয়েছিলেন, এবং এই হামলার ছক কষায় সরাসরি জড়িত ছিল রানা। ২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতার হওয়ার পর দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রানাকে ভারত সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
রানা বর্তমানে দিল্লিতে আছে এবং শীঘ্রই একটি বিশেষ এনআইএ আদালতে তাকে পেশ করা হবে। তাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হতে পারে এবং এনআইএ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলি তাকে জেরা করবে, যাতে ২৬/১১ হামলার বাকি অজানা তথ্য উদ্ধার করা যায়। যদিও এফবিআই তাকে ইতিমধ্যেই জেরা করেছে, তবে ভারতীয় তদন্তকারীরা রানার কাছ থেকে মুম্বই হামলা সম্পর্কিত আরও তথ্য জানতে চান।
একনজরে মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলা (২৬/১১):
🔴 তারিখ: ২৬ নভেম্বর, ২০০৮
🔴 সময়কাল: প্রায় ৬০ ঘণ্টা
🔴 স্থানে: মুম্বইয়ের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান
🔴 মৃতের সংখ্যা: ১৬৬ জন (ভারতীয় ও বিদেশি নাগরিক সহ)
🔴 আহত: ৩০০-এর বেশি
🔴 হামলাকারী: পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা (LeT)
🔴 জঙ্গিদের সংখ্যা: ১০ জন (সবাই পাকিস্তানি, ৯ জন নিহত, ১ জন (আজমল কাসাব, ধৃত ও পরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর)
ডেভিড হেডলি, হামলার আগে ভারতের বিভিন্ন জায়গা রেইকি করেছিল, তার সঙ্গে রানা দীর্ঘদিন ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখেছিল। রানা নিজের ইমিগ্রেশন ফার্ম ব্যবহার করে হেডলিকে বারবার ভারতে আসার সুযোগ করে দিয়েছিল।
হামলার প্রধান জায়গাগুলো:
তাজ মহল প্যালেস হোটেল
ওবেরয় ট্রাইডেন্ট হোটেল
ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস (CST) রেলওয়ে স্টেশন
লিওপোল্ড ক্যাফে
নরিমান হাউস (জিউইশ সেন্টার)
কামা হাসপাতাল
আরও পড়ুন- পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য গাছও রয়েছে, জানেন সেটা কী, কেন এই গাছের এত গুরুত্ব?
পরিকল্পনা ও সমন্বয়:
ডেভিড হেডলি ভারতের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে হামলার আগে রেইকি করেছিল
তাহাওয়ার রানা তার সহযোগী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল
ISI ও LeT’র যোগাযোগ ও প্রশিক্ষণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে
সাজিদ মীর, হাফিজ সাঈদ, মেজর ইকবাল– মূল ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও পাকিস্তানে
তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির নানা ধারায় মামলা হয়েছে এবং কিছু অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের সম্ভাবনাও রয়েছে। যদিও ভারতে এর আগেও কয়েকজন অভিযুক্তকে ফেরানো হয়েছে, কিন্তু তাদের বিচার প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। ফলে, রানা মামলার ভবিষ্যৎও এখনও অনিশ্চিত। তবে, রানার প্রত্যর্পণ এই মামলায় ন্যায়বিচারের পথে এক বড় অগ্রগতি।