পাকিস্তানে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ল। ক্ষমতাচ্যুতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। কারণ, ইমরান শনিবারের এক সমাবেশে সরকারি আধিকারিকদের হুমকি দিয়েছেন। পালটা, ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই), তাঁকে গ্রেফতার করা হলে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
দলের শীর্ষ নেতার গ্রেফতারি ঠেকাতে ইমরানের বাসভবনের বাইরেও জড় হয়েছিলেন পিটিআইয়ের কয়েকশো সমর্থক। ইতিমধ্যেই গ্রেফতারি ঠেকাতে ইমরান ইসলামাবাদ হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ২৫ আগস্ট পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না।
এর সূত্রপাত কী নিয়ে?
ইমরানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, শেহবাজ গিলকে টিভিতে করা মন্তব্যের জন্য গত ৯ আগস্ট গ্রেফতার করার পরই সমস্যার সূত্রপাত হয়। পাকিস্তানের মিডিয়া নিয়ন্ত্রক, পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি (পেমরা) শেহবাজ গিলের মন্তব্যকে 'রাষ্ট্রবিরোধী', 'সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি উসকানি দেওয়ার সমতুল্য' এবং 'বিদ্রোহ'র তকমা দেয়।
ইমরানের দল পিটিআই গোড়া থেকেই অভিযোগ করছে যে গিলকে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন করা হয়েছে। তাঁর জীবন সংকটের মধ্যে রয়েছে। যে বিচারক গিলকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন, শনিবারের সমাবেশে তাঁকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন ইমরান। একইসঙ্গে তিনি ইসলামাবাদ পুলিশের শীর্ষকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকিও দিয়েছিলেন। এর পরই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে পুলিশ ও বিচার বিভাগকে সন্ত্রস্ত করার অভিযোগে সন্ত্রাসদমন আইনের ৭ নম্বর ধাকায় মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- নাসার টেলিস্কোপে বৃহস্পতির নতুন ছবি, যা বদলে দিচ্ছে এই গ্রহ সম্পর্কে ধ্যান-ধারণা
ইমরান খান কী চান?
বর্তমানে পাকিস্তানজুড়ে প্রবল ইমরান হাওয়া বইছে। সেই হাওয়ার গতিকে নিজের পক্ষে রাখতে চান ইমরান। সেই জন্য পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অবিলম্বে আগাম নির্বাচনের ওপর জোর দিচ্ছেন। এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাঁর জনপ্রিয়তা হ্রাস পেলেও, ধীরে ধীরে সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।
ইমরান অভিযোগ করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলকাঠিতেই তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদ খোয়াতে হয়েছে। কারণ, তিনি স্বাধীন বিদেশনীতি চেয়েছিলেন। ইমরানের এই অভিযোগের পরই ধীরে ধীরে তাঁর সমর্থন বাড়তে শুরু করেছে। এই সমর্থকদের অধিকাংশই আবার তরুণ এবং পাকিস্তানের মধ্যবিত্ত শ্রেণির নাগরিক।
Read full story in English