/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/10/trump-lead.jpg)
নভেল করোনা ভাইরাসের থাবা থেকে অব্যাহতি পেলেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবারই ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের করোনা পজিটিভের খবর জানা যায়। তবে সকলের যেমন করোনা চিকিৎসা চলে তেমনটা অবশ্য ট্রাম্পের ক্ষেত্রে হবে না বলেই খবর। কারণ তিনি প্রেসিডেন্ট বলে কথা। হোয়াইট হাউসের তরফে বলা হয়েছে ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা একটি পরীক্ষামূলক চিকিৎসা চলবে। পাশাপাশি অ্যাসপিরিন এবং ভিটামিন ডি প্রয়োগ করা হবে।
৭৪ বছর বয়সি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রাথমিক উপসর্গ বলতে ছিল মৃদু জ্বর। তবে সাবধানতা মানতে ইতিমধ্যেই তাঁকে ওয়ালটার রিড মিলিটারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকের যা ভাবিয়ে তুলেছে তা হল মার্কিন প্রেসিডেন্টের বয়স এবং ওজন। কোভিডের ক্ষেত্রে এই দুই কারণেই যেকোনও সময় মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে এই রোগ। এমনকী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে ট্রাম্পের বয়স এবং স্থূলকায় দেহের কারণে সামান্য হলেও মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর কী কী পরীক্ষামূলক চিকিৎসা চালানো হবে?
কোভিড ভাইরাসের পরীক্ষামূলক চিকিৎসার মধ্যে ব্যবহার করা হতে পারে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি। এটি হল নির্দিষ্ট ভাইরাসের জন্য মানবদেহে তৈরি করা অ্যান্টিবডির প্রতিলিপি। এই অ্যান্টিবডিগুলিকে দেহে ইনজেকটেড করা হয় যাতে তৎক্ষণাৎ তাঁরা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই এবং প্রতিরোধ করতে পারে ।
আরও পড়ুন, হাসপাতালে ভর্তি হলেন ট্রাম্প, বাতিল নির্বাচনী প্রচার
এই পদ্ধতিটি বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত একটি চিকিৎসা প্রক্রিয়া। তবে কোভিড-১৯ অ্যান্টিবডির সমস্ত ডেটা এখনও পাওয়া যায়নি। তবে আমেরিকার সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের প্রধান ডা: অ্যান্থনি ফৌসি জানান যে এই চিকিৎসার মাধ্যমে ইতিবাচক সাড়া মিলতে পারে। রিজেনারন ফার্মাসিউটিক্যালস দ্বারা পরীক্ষা করা একটি অ্যান্টিবডির মিশ্রণ নিচ্ছেন। যা হাসপাতালে না ভর্তি হওয়া কোভিড-১৯ রোগীদের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে এর মধ্যে ট্রায়ালে কোনও গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থা আরও খারাপ হলে কী হবে?
ট্রাম্পের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হয়তো অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হতে পারে। অবস্থার অবনতি বলতে যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা তীব্রতর হয়। এক চিকিৎসকের মতে, "বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে রোগীদের লক্ষণ থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে অসুস্থতা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে আরও খারাপ দিকে ঘুরে যায়।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন